বান্দিপুর উদ্যান
- সেলিম বুলবুল চৌধুরী
- ১৮ আগস্ট ২০২৪, ০০:০৫
বলছি বান্দিপুর উদ্যানের কথা। এটি একটি জাতীয় উদ্যান; সংরক্ষিত এলাকা । এটি একটি অভয়ারণ্য। এ ছাড়া এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাঘ সংরক্ষিত এলাকা (চৎড়লবপঃ ঞরমবৎ জবংবৎাব)।
পশ্চিম ঘাট পর্বতের পাদদেশে পাহাড়ি বনের শ্যামলিমায় গড়ে ওঠা উদ্যানটি জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ। এ উদ্যানের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে চঞ্চলা নদী কাবিনী, নাগুর ও মোয়ার। সাগর সমতল থেকে এর উচ্চতা ৬৮০-১৪৫৪ মিটার। আয়তন প্রায় ৮৭ হাজার ৪২০ হেক্টর।
দক্ষিণ ভারতের কর্নাটক রাজ্যের চামারাজানগর জেলায় বান্দিপুর জাতীয় উদ্যানের অবস্থান। এর পাশেই রয়েছে তামিলনাড়– রাজ্যের মুদুমালাই জাতীয় উদ্যান, কেরালার উইনাদ পশুপাখি অভয়ারণ্য এবং এর দক্ষিণে রয়েছে নাগরহোল জাতীয় উদ্যান। বান্দিপুর জাতীয় উদ্যানসহ পশ্চিমঘাট ও নীলগিরির প্রায় ছয় হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা বিশ্বঐতিহ্য স্থান হিসেবে নির্বাচনের জন্য ইউনেস্কো বিশ্বঐতিহ্য কমিটির বিবেচনাধীন রয়েছে।
বান্দিপুর জাতীয় উদ্যানে রয়েছে প্রায় ৭৫টি বাঘ এবং তিন হাজারের বেশি এশিয়ান হাতি। এ ছাড়া এখানে রয়েছে চিতাবাঘ, বন্যকুকুর, বনগরু, আলসে ভালুক, সম্বর (একধরনের হরিণ), চিতল (হরিণবিশেষ), চৌশিঙ্ঘা (চার শিংয়ের হরিণ), শূকর ইত্যাদি স্তন্যপায়ী।
ধূসর জংলিপেঁচা, লালচে মাথার শকুন, হানি বাজার্ড (একধরনের শিকারি পাখি), ধূসর মাথার মেছো ঈগল, বাদামি বাজপেঁচা ইত্যাদি পাখি দেখা যায় এ জাতীয় উদ্যানে।
এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সরীসৃপ- যেমন রাজ গোখুরা, সাধারণ গোখুরা, অজগর, অ্যাডার (বিষধর সাপবিশেষ), ভাইপার (একধরনের বিষধর সাপ), জল কুমির, টিকটিকি, কচ্ছপ, জলসাপ।
বিভিন্ন ধরনের গাছপালা দেখা যায় এ উদ্যানে। এগুলোর মধ্যে সেগুন ও গোলাপকাঠ ( ৎড়ংবড়িড়ফ) খুবই দামি।
এখানকার আবহাওয়া সহনীয়। শীতকালে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি এবং গ্রীষ্মকালে সর্বোচ্চ ২৮ ডিগ্রি। জুন থেকে সেপ্টেম্বর এখানে বর্ষাকাল।
সারাবছরই এখানে ভ্রমণ করা যায়। তবে বর্ষাকালে ভ্রমণ করলে পশুপাখি বেশি চোখে পড়ে। এ ছাড়া এ সময় বনও থাকে সবুজ ও মনোহর।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা