বামার মানুষ
- মোহনা আকন্দ
- ২৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
বলছি আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের কথা। বহুজাতিক ওই দেশে বেশ ক’টি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী বা জাতির বসবাস রয়েছে। দেশটির প্রধান নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর নাম বামার। এরা বার্মান নামেও পরিচিত।
মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ বামার। মোট বামার জনসংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ । এদের বেশির ভাগ বাস করে মিয়ানমারে। কিছু বামারের বসবাস রয়েছে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায়। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায়ও কিছু বামারের বসবাস রয়েছে।
বামাররা কথা বলে বর্মি ভাষায়। এটি মিয়ানমারের সরকারি ভাষা। সিনো-তিব্বতি ভাষা পরিবারের এ ভাষার বেশির ভাগ শব্দ এসেছে সিনো-তিব্বতি শব্দভাণ্ডার থেকে। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পালি ও ইংরেজিও বর্মি ভাষাকে প্রভাবিত করেছে। এ দুই ভাষার অনেক শব্দও ব্যবহৃত হয় বর্মি ভাষায়।
বামারদের বেশির ভাগ বৌদ্ধ ধর্ম অনুসরণ করে। এদের প্রায় সব গ্রামে প্যাগোডা ও মঠ দেখা যায়।
বামাররা শিক্ষা-সংস্কৃতিতে বেশ অগ্রসর। মিয়ানমারের অন্যান্য নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীকেও এরা প্রভাবিত করেছে। বামার পুরুষেরা লুঙ্গি পরে। নারীরাও একধরনের লুঙ্গি পরে।
ধান এবং অন্যান্য শস্য উৎপাদনে এরা বেশ পটু। বামাররা ভাত-মাছ খেতে পছন্দ করে। খাদ্যাভাসে বাঙালির সাথে এদের সাদৃশ্য রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা