০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

হরেজু মঠের কথা

-

বলছি হরেজু মঠের কথা। সাংস্কৃতিক গুরুত্বের কারণে ইউনেস্কো ১৯৯৩ সালে একে বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানের মর্যাদায় ভূষিত করে।
হরেজু মঠ রোমানিয়ার ওয়ালাচিয়া অঞ্চলের এক বিশেষ স্থাপত্য নিদর্শন? ১৬৯০ সালে ওয়ালাচিয়ার রাজপুত্র কনস্ট্যানটাইন ব্র্যানকোভিনু এটি নির্মাণ করেন।
হরেজু শহরের চিত্রময় উপত্যকার মাঝে রোমানিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মঠ বা আশ্রম এটি। এ মঠে অসাধারণ শৈল্পিক কারুকাজ ব্যবহার করা হয়েছে, যা কয়েক শতক ধরে ভালো অবস্থায় টিকে আছে। হরেজু মঠে যে স্থাপত্যিক ঘরানা ব্যবহার করা
হয়েছে ওয়ালাচিয়ার অন্যান্য মঠ ও গির্জায় তা প্রতিফলিত হয়েছে। এ মঠে ব্যবহার করা স্থাপত্যিক ঘরানার নাম ‘ব্র্যানকোভেনেস্ক শিল্প’। স্থাপত্যিক শুদ্ধতা, ভারসাম্য, নির্মাণশৈলীর উচ্চমানের বিশেষত্ব, ধর্মীয় সংশ্লিষ্টতা, স্রষ্টাসমীপে প্রতিজ্ঞা পূরণার্থে প্রদত্ত প্রতিকৃতি এবং অঙ্গসজ্জায় রঙের ব্যবহারের জন্য এ শিল্পের বিশেষ পরিচিতি আছে। ওয়ালাচিয়ার শাসক রাজপুত্র কনস্ট্যানটাইন ব্র্যানকোভিনুর (১৬৫৪-১৭১৪) নামানুসারে ব্র্যানকোভেনেস্ক শিল্পের নামকরণ করা হয়েছে। শিল্পটি বর্তমান রোমানিয়ার দেশজ শিল্পের মর্যাদা পেয়েছে। সেই সময়ের যুদ্ধাবস্থায় এই শিল্পরীতি বা ঘরানা গড়ে ওঠে। ১৪১৫ সালে ওয়ালাচিয়া এলাকা তৎকালীন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সামরিক শক্তি ওসমানীয় সাম্রাজ্যের (তুরস্ক) অধীনে যায়। এরপর এ এলাকায় অনেক যুদ্ধ সঙ্ঘটিত হয়েছে। যুদ্ধাবস্থায় এই সুন্দর শিল্পের বিকাশ এক অভাবনীয় বিষয়। এর পেছনে কাজ করেছে তুর্কিদের ধর্মীয় সহনশীলতা এবং স্থানীয় শাসকদের সৌন্দর্যবোধ ও ইচ্ছাশক্তি।
হরেজু মঠ ব্র্যানকোভেনেস্ক শিল্পের শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্ম হিসেবে বিবেচিত। বর্তমানে এটি রোমানিয়ার একটি জনপ্রিয় তীর্থস্থান।

 


আরো সংবাদ



premium cement