০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
গল্পকথা

এক দুঃস্বপ্নের রাত

-

আট.

একটুও নড়চড় নেই। লোকটা তার আসন ছেড়ে এবার উঠে দাঁড়ালেন। ধীর পায়ে এগিয়ে এলেন ঘোড়াটির কাছে। তাকে দেখে চীনা মাটির ঘোড়াটিও নড়েচড়ে ওঠে। যেন জীবন ফিরে এলো ঘোড়াটির দেহে। তিনি ঘোড়াটির মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন।
আমাকে বললেন, ‘আমার পোষা ঘোড়া। পঙ্খিরাজ। তুই একে খেলনা ভেবেছিস? শক্ত করে ধরে রাখ ওর দুই কান। পড়ে যাসনে যেন। এখনি উড়াল দেবে আমার পঙ্খিরাজ। শুধু ইঙ্গিত করতে বাকি আছে আমার। এবার এই পঙ্খিরাজে চড়ে তুই বাড়ি ফিরে যা।’
তিনি বাম হাতে তুড়ি বাজালেন। ঘোড়াটি নড়েচড়ে প্রস্তুত হলো। লোকটি তার ডান হাতের অনামিকা থেকে একটি অঙ্গুরী খুলে নিলেন। সেটি পরিয়ে দিলেন আমার ডান হাতের অনামিকায়। একেবারে খাপে খাপে লেগে গেছে অঙ্গুরীটি আমার অনামিকায়। কী করে হলো এটা! তার আঙ্গুল তো আমার আঙ্গুলের চেয়ে অনেক বড় এবং মোটা। তিনি বললেন, ‘এ অঙ্গুরীটির এমন এক মাহাত্ম যে যার হাতেই পরানো হয়, তার অনামিকাতেই লেগে থাকে এটি। এই অঙ্গুরী যার হাতে থাকে তার আর কোনো ভয়ডর থাকে না মনে। কোনো প্রেতাত্মা দেউ দানব তার কিছুই করতে পারে না।’
তিনি আবার বাম হাতে তুড়ি বাজালেন। আর অমনি বিদ্যুৎ বেগে ছুটে চললো পঙ্খিরাজ। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement