এক দুঃস্বপ্নের রাত
- সোনিয়া হুসাইন
- ১৩ জুলাই ২০২৪, ০০:০৫
সাত.
মনে হলো লোকটি একটু নড়েচড়ে বসলেন। তারপর বললেন, ‘অবাক করা সাহস আছে তোর খোকা। কী নাম যেন বললি? হ্যাঁ, মনে পড়ছে, কাঞ্চন।’
যেন ধ্যান করছেন, ঠিক সেভাবেই তিনি চোখ বুঝলেন তখন। অনেকক্ষণ পর, যেন অন্য রকম আরেক কণ্ঠে তিনি বললেন, ‘নেহ, এ যাত্রায় বেঁচে গেলি তুই। তোর ডান পাশে চেয়ে দেখ।’
ডান দিকে ফিরে তাকাতে দেখি তরতাজা একটি ঘোড়া দাঁড়িয়ে। আমি হতভম্ব! তকতকে পরিষ্কার মোজাইক করা এই হলরুমের ভিতরে ঘোড়া! এলো কোত্থেকে এটা!
তিনি বললেন : ‘নে, উঠে পড়। দেখি, তোর সাহসটা আসলে কতখানি।’
আমি লোকটার দিকে আবার ফিরে তাকাই।
: কিরে, ভয় পেলি কাঞ্চন?
: না।
: চমৎকর। এবার তা হলে উঠে পড় ঘোড়ার পিঠে। উঠে ওর দুই কান শক্ত করে ধর। দেখিস, লাগাম নেই ঘোড়ার। কান দুটোই ওর লাগাম।
আমার শরীরে হঠাৎ বিদ্যুৎ খেলে গেল। আমি যেন আর আমি নই। অন্য কেউ। অন্য কোনো পৌরাণিক কাহিনীর রাজপুত্র। এই পোড়োবাড়ির একাকিত্ব আর ভয়ঙ্কর পরিবেশে আমিই যেন রাজকুমার। দেহের চপট এক বৈদ্যুতিক ঝটকায় আমি এক লাফে ঘোড়াটির পিঠে চড়ে বসি। তারপর ধরে ফেলি ঘোড়ার দু’টি কান।
ঘোড়ার পিঠে চড়ে মনে হলো, এটা বুঝি এক খেলনা ঘোড়া। চীনা মাটির তৈরি।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা