২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
গল্পকথা

এক দুঃস্বপ্নের রাত

-

পাঁচ.

ভয়ে সমস্ত গা আমার যমে গেল। এটা তো মূর্তি না! মানুষখেকো প্রেত! ওই তো আমার দিকে এগিয়ে আসছে। সাপের মতো লিকলিকে লোহার শিকল আমার পা দুটোকে পেঁচিয়ে ধরেছে। এক চুলও নড়ার শক্তি নেই আমার। ভয়ে আমার চোখ দুটো ঠাণ্ডা পাথর হয়ে গেছে। পলক পড়ছে না চোখে। বিস্ময়ে তাকিয়ে আছি আমি মানুষখেকো ওই মূর্তিটির দিকে। ওর এক হাতে খড়গ। অন্য হাতে কী? মানুষের মুণ্ডু? খড়গ দিয়ে টপ টপ করে তাজা খুন গড়িয়ে পড়ছে। আমি চিৎকার দিয়ে উঠি। কিন্তু গলা থেকে কোনো শব্দ বের হলো না। ভয়ে আরেক চিৎকার দিতে গিয়ে চোখ বন্ধ করে ফেলি।
‘এই ছেলে, কেরে তুই? এখানে কেন? এক গম্ভীর শান্ত কণ্ঠ ভেসে এলো কানে। আমি চোখ খুলে পেছনে তাকাই। দেখি, ধবধবে সাদা পোশাক পরা এক লোক। তাকে দেখে একটু সাহস এলো বুকে। বুঝতে পারি আমাকে ইনি উদ্ধার করতেই এসেছেন। আমি নির্বাক তাকিয়ে থাকি তার দিকে। গলা দিয়ে স্বর বেরুচ্ছে না। কতক্ষণ মনে নেই।
‘কী করছ এখানে?’
তার কথা শুনে এবার চেতন ফিরে পাই। নিজের অজানতেই বলি, ‘আমি, আমি কাঞ্চন। ভুল করে চলে এসেছি এ পথে।’
: ভুল করে নয়, বল কৌতূহলে। আর একটু হলে তো মরতিস। আয়, আয় আমার সাথে।
লোকটি আমার হাত ধরে মন্দির থেকে বের করে আনে আমাকে।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement