২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
গল্পকথা

এক দুঃস্বপ্নের রাত

-

চার.
সন্ধ্যে হয় হয় অবস্থা। হঠাৎ চেয়ে দেখি আমি সেই রাজবাড়ির ভিতরে। উটপাখিটা হাওয়া। আমাকে নামিয়ে দিয়ে হাওয়া হয়ে গেছে পাখিটা। রাজবাড়ির চারিদিক সুনসান অন্ধকার। কোথাও কেউ নেই। বড় বড় আম গাছ, মূর্তিমান অন্ধারের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে। অন্যদিকে সারি সারি নারকেল গাছ। তার পাশে ঝিমকালো জলের সরোবর। আরেক পাশে তাল, সুপারি, বেল ও প্রকাণ্ড এক অশ্বথ গাছ। রাজবাড়ির অন্য পাশে বট-পাকুড় ও বাঁশের ঝোপ। ঘুটঘুটে অন্ধকার ছাপিয়ে আকাশ ছুঁয়েছে দুই দেবদারু গাছ।
বট-পাকুড়ের ঝোপের ভেতর হঠাৎ চোখে পড়ল একটি মন্দির। অন্ধকারের ভেতরেও আবছা আলো-ছায়ার খেলা মন্দিরের ভেতর। আমি মন্দিরের ভেতরে উঁকি দিই। টকটকে লাল জিহবা বের করে কে যেন দাঁড়িয়ে। প্রকাণ্ড এক শরীর শুয়ে আছে তার পায়ের তলায়। আৎকে উঠি আমি। ভয়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে গা। ওটা কি মূর্তি? নাকি জীবন্ত কেউ! নাকি প্রেতাত্মা! ওইতো নড়াচড়া করছে। মিশ্মিশে কালো, অর্ধ ল্যাংটো।
আবার সেই ঝন্ ঝন্ শব্দ! এবার তো আমি ফুলদানি ভাঙ্গিনি আমি! তা হলে এটা কিসের শব্দ! দেখি কালো লোহার শিকল অথবা প্রকাণ্ড এক কালো সাপ ঠাণ্ডা মেঝের পরে লিক লিক করে আমার দিকে আসছে। এমন সময় হাহ্ হা করে অট্টহাসি দিলো মূর্তিটা। হাসির শব্দে পোড়োবাড়িটা গমগম করে কেঁপে উঠল।
‘আমি মানুষের গন্ধ পাচ্ছি। হাহ্ হা হা! আমি মানুষ খাবো -- -- -- !’ (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement