এক দুঃস্বপ্নের রাত
- সোনিয়া হুসাইন
- ০৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
তিন.
ওই পথ ধরে হেঁটে অনেকটা দূর গেলে দেখতে পাওয়া যায় প্রকা- একটা রাজবাড়ি। একবার আমি গিয়েছিলাম ওই বাড়িতে। বাবার সাথে। রাজবাড়িতে সেবার কী একটা মেলা বা উৎসব ছিল বুঝি। অনেক দেবদেবীর মূর্তি দেখে এসেছিলাম। বাবার হাত ধরে থাকায় ইচ্ছে মতো মেলায় ঘুরতে পারিনি। বাবারা যে কী! নিজের মনের মতো চলতে গেলেই ধমক। নিষেধ আর বারণের বেড়াজালে কতক্ষণ বন্দী থাকা যায়, বলুন? আর তাই আজ সেই বেড়া ভেঙ্গে বেরিয়ে এসেছি।
শাসনের বেড়াজাল যখন ভেঙেছি, আজ ওই রাজবাড়িটা দেখবোই। মাথার ভেতর সেই উটপাখি আবার ঠোকর দিলো।
ঠোকর খেয়ে মনে হলো মহানন্দে দৌড়াচ্ছি আমি। দৌড়াচ্ছি নদীর পাড় দিয়ে। যাচ্ছি নদীর উজানে সেই রাজবাড়িটার দিকে। মাইল খানেক গেলেই পাওয়া যাবে বাড়িটা। আমি দৌড়াচ্ছি তো দৌড়াচ্ছি। নদীর শেষ মাথায় বনবাদাঁড়ে ঘেরা রাজবাড়িটা। বাড়িটার এই দিকটায় নাকি কেউ আসে না। ভয় পায়। পোড়োবাড়ি। আশপাশ জঙ্গলে ভরা। আমি দৌড়াচ্ছি তো দৌড়াচ্ছি। আসলে আমি দৌড়াচ্ছি না। আমি সেই উটপাখিটির পিঠে চড়ে আছি। আর উটপাখিটা দৌড়াচ্ছে।
চিলকণ্ঠ নদীর পাড় ঘেঁষে দৌড়াচ্ছে। ছোট ছোট ধানক্ষেতের ভিতর দিয়ে দৌড়াচ্ছে। আর আমি বসে আছি উটপাখিটার পিঠের পরে। অনেকক্ষণ। এক, দুই, তিন ঘণ্টা। অথবা তারও বেশি। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা