২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
গল্পকথা

এক দুঃস্বপ্নের রাত

-

দুই.

ওই তো মা, এদিকেই আসছেন। ফুলদানীটা ভেঙে ফেলেছি। কী যে আছে কপালে। পালাই! এবার পালাই! মা আসার আগেই পালাই ...।
আমি দ্রুত ঘরের পেছন দরজা দিয়ে পগাড় পাড়। আমারে আর পায় কে...।
মাঝে মাঝে আমার যে কী হয়। কিসে যে পায় আমাকে। আমার কাছে মনে হয়, মাথার ভেতরে উদ্ভট এক উটপাখি ঠোকর মারে। লাল লাল চোখে তাকায়। মাথার ভিতরে পাখা ঝাপটায়। পাখিটা পাখা ঝাপটালেই হলো। আমি তখন লাফ দিয়ে পাখিটার পিঠে চড়ে বসি। পাখিটা উড়ে যায়। দুরন্ত গতিতে উড়ে যায়। ওর পিঠে শক্ত হয়ে বসে থাকি আমি।
আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে চলে গেছে একটি নদী। ছোট্ট নদী। আমি এর নাম দিয়েছি চিলকণ্ঠ নদী। নদীটির বুকে সারাক্ষণ চিল ওড়ে। এর পানির স্বচ্ছ ধারা চিলের মতো চিঁ চিঁ সুরে বাজে। তাই নদীটির এমন নাম দিয়েছি আমি। নাম শুনলেই কেমন যেন মিহি সুর ভেসে আসে কানে। নামটি যেন সুরেলা এক বাঁশির মতো। অবশ্য নদীটির আরেকটি নামও আছে। যেটা তার আসল নাম। সবাই যে নামে তারে চিনে, ভুবনেশ্বর। শুনলেই মনটা বড় হয়ে যায়। রাতের বেলা নদীর বুকের স্বচ্ছ পানির অতল তলে ঝিকিমিকি তারা জ্বলে। যেন আরেকটি আকাশ নদীর গহিনে।
নদীটির পশ্চিম-উত্তর পাড় ঘেঁষে চলে গেছে পায়ে চলা একটি পথ। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement