২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

কারকিনি হ্রদ

-

জানো, কারকিনি হ্রদকে অনেকে বলে প্রকৃতির এক অপার বিস্ময়; তবে এটি নির্মাণ করা হয়েছে প্রযুক্তিবিদ্যার নিখুঁত প্রয়োগে, স্ট্রিমন নদীকে ব্যবহার করে।
হ্রদটি যেন এক পাখির রাজ্য। অসংখ্য পাখির কাকলীতে মুখরিত কৃত্রিম এ জলাধার। এ হ্রদ গঠন করা হয় ১৯৩২ সালে। আর এর সংস্কার করা হয় ১৯৮০ সালে।
সমভূমি আর অর্ধপার্বত্য এলাকার এ হ্রদের অবস্থান গ্রিসে। হ্রদটিকে ঘিরে এন্তার পরিযায়ী পাখির মহাসমাবেশ চোখে পড়ার মতো। ঈজিয়ান সাগর, বলকান অঞ্চল, হাঙ্গেরির স্তেপ আর সংলগ্ন এলাকা থেকে পাখিরা ছুটে আসে এখানে। আবার চলে যায় আগের দেশে কিংবা অন্য কোনো দূর অজানায়। হ্রদের দৈর্ঘ্য ১৭ কিলোমিটার আর প্রস্থ ৫ কিলোমিটার। এর পানির উৎস স্ট্রিমন নদী, আবার পানি নির্গমনপথও এই নদী। সময়ের আবর্তে হ্রদের পানি বাড়ে আবার কমে। তাই দু’দিনেই হ্রদের আয়তন ৫৪ বর্গকিলোমিটার থেকে বেড়ে হতে পারে ৭২ বর্গমিলোমিটার। এ যেন পানি দিয়ে পানি নিয়ে স্ট্রিমন নদীর ছলনা।
জলজীব বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ কারকিনি হ্রদ। অনেক প্রকার মাছ রয়েছে এখানে। হাজার হাজার পাখির উড়াউড়ি, বনভূমি আর বিস্তৃত এলাকায় জলপদ্মের সমাবেশ হ্রদএলাকায় সৃষ্টি করে এক মোহিনী পরিবেশ। এখানে ২২৭ প্রজাতির পাখি দেখা যায়। মূলত কারকিনি একটি পাখি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।
হ্রদের ধারে ঘুরে বেড়ায় মহিষ ও শেয়াল। এখানে বাস করে প্রায় ১০ ধরনের উভচর প্রাণী, যেমন ব্যাঙ, স্যালাম্যানডার (গিরগিটিসদৃশ উভচর প্রাণী), ট্রিটন। পাঁচ প্রজাতির শামুক এবং ১৯ প্রজাতির সরীসৃপের বাস এখানে। সব কিছু মিলে দারুণ এক হ্রদ কারকিনি।


আরো সংবাদ



premium cement