২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
গল্পকথা

এক দুঃস্বপ্নের রাত

-

এক.
‘তেলের শিশি ভাঙল বলে/খুকুর পরে রাগ করো/ তোমরা যে সব বুড়ো খোকা / ভারত ভেঙে ভাগ করো ! / তার বেলা?’ স্যারের পড়ানো ছড়াটি মনে মনে আওড়াচ্ছিলাম। আর ভাবছিলাম, যাক! ভেঙে যাক। তাতে আমার কী? আমার কাজ হলো তেল মালিশ। অন্য কারো মাথায় না, নিজের মাথায়। এই শীতে তেল না দিলে চুলগুলো ঝিনুকের মতো ঝন্ ঝন্ করে বাজে। কিন্তু তেলের বোতলটা কই রেখেছেন আম্মু? হ্যাঁ, পেয়েছি, ওই তো উপরে শিকেয় তোলা। নামিয়ে আনতে হবে। অবশ্য, আমার জন্য এ কাজ ওয়ান-টু’র মতো, কোনে ব্যাপারই না।
শিকেটা ডাইনিং টেবিলের ওপর ঘরের যে আড়াটা আছে, সেটার সাথে ঝুলানো। এক পা টেবিলের ওপরে দিয়ে ডান হাতটা বাড়িয়ে অনায়াসে নামিয়ে আনা যাবে। অমন উঁচুতে যে কেন আম্মু ঝুলিয়ে রাখে তেলের শিশি। তা রাখুক। আগে টেবিলের ওপর এক পা দিই। হ্যাঁ, ঠিক এভাবে। ব্যাশ! এখন আরেক পা দেয়ালের সাথে ঠেক দিয়ে ডান হাতটা বাড়িয়ে দিলেই হলো। - - - এইতো নাগাল পাচ্ছি বলে। আর একটু, আর একটু হাতটাকে আগে বাড়াতে পাড়লেই শিশিটা ধরা যাবে। আর একটু.. .. .. ..ঝন্ ঝন্ ঝন্! আহ্! কী পড়ল ওটা! ফুলদানিটা! গেছে, একেবারে চুড়মুড় হয়ে গেছে। দুই টুকরো না। ফুলদানিটা হাজার টুকরো হয়ে গেছে।
: ও ঘরে কে রে? কী ভাঙলি কাঞ্চন? নাহ্, আর পারিনে ছেলেটাকে নিয়ে।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement