রক্তবনে আবিদ-আসমান
- মোহাম্মদ আব্দুল্লা হেল বাকী
- ৩০ জুন ২০২৪, ০০:০৫
ঊনত্রিশ.
আরেক জন বললেন, একদিনে সব দেখা যাবে না।
আমরা রিপোর্ট করলে সারা পৃথিবীতে খবর ছড়িয়ে পড়বে। হাজার হাজার প্রতœতাত্ত্বিক এ নিয়ে গবেষণা শুরু করবে। তখন এর আদ্যপান্ত জানা যাবে।
পরদিন পত্রিকা, টিভি খুলতেই এই পাতালপুরীর খবর। নীলয়দের ছবি পত্রিকায় ছাপা হলো। তাদের সাক্ষাৎকার পত্রিকায় ছাপা হলো। টিভিতে প্রচার করা হলো। তারা এখন জাতীয় বীর। পুরো বিশ^ তাদের এক নামে চেনে। এই রক্তবনকে নিয়ে মানুষের আগ্রহ বেড়ে গেল। সারা বিশে^র মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হলো।
এর পর পর্যটকের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকল। দেশের সরকার রক্তবনকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে লাগল। দেশের পর্যটন শিল্পে জোয়ার বয়ে গেল। আবিদরা আপ্লুত। আনন্দে দিশেহারা। বিশেষ করে আবিদ আর আসমান বেশি খুশি। তাদের ছুটিটা তারা কাজে লাগাতে পেরেছে। তার দাদু প্রায়ই বলেন, ‘যে সময়ের মূল্য দেয়, তার মূল্য অটোমেটিক বেড়ে যায়।’ তবে একটা বিষয় তাদের মনে যন্ত্রণার মতো বাজতে লাগল। রক্তবনের এখন তারকা খ্যাতি। কিন্তু তারা ছায়া-সুনিবিড় রহস্যেভরা রক্তবনকে হারিয়ে ফেলল। সারাক্ষণ পুলিশ পাহারায় থাকে। দেশী-বিদেশী পর্যটক আর প্রতœতাত্ত্বিকের আনাগোনা বেড়ে গেছে। রক্তবন এখন মানুষের পদভারে মুখরিত। আগের মতো আপন করে পাওয়া যায় না। একটু পরপর মনে হয়। পরানের গহীনে এক করুণ সুর বাজে।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা