২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নিত্যোপন্যাস

রক্তবনে আবিদ-আসমান

-

আঠাশ.
মুহূর্তের মধ্যে বন জনমানুষের কলরবে মুখরিত হয়ে উঠল। চারদিকে চাউর হয়ে গেল- ডাকাতদের আস্তানা খুঁজে পাওয়া গেছে। গলায় ক্যামেরা ঝুলিয়ে সাংবাদিকরা আসা শুরু করল। পূর্বাকাশে উঁকি দিলো কৌতূহলী সূর্য। এবার অন্ধকারের বিদায় হওয়ার পালা। সব অন্ধকার বিদায় হবে। পুলিশ সাংবাদিক আর সাধারণ জনগণ নিয়ে সুড়ঙ্গ পথে ঢুকে পড়লেন। বিস্ময়কর ব্যাপার। মাটির নিচে আধুনিক শহর। পাতালপুরী। যত এগোয় বিস্ময় তত বাড়ে। এক পুরনো নদীর পাড়ে আধুনিক শহর। প্রাসাদসম কয়েকটা বাড়ি। এরকম একটি বাড়িতেই ডাকাতদের বাস। নদীর একপাশে কয়েকটা নৌকা বাঁধা। নৌকাগুলো কোন যুগের তা বোঝা যাচ্ছে না। এগুলো প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাজ। চোখ ধাঁধানো সব ব্যাপার। আর কোনো মানুষ নেই। ডাকাতরাই বা কিভাবে খুঁজে পেল এ নগরী। এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা হবে। নদীর অপর পাড়ে ঘন গাছপালার বন। টলটলে স্বচ্ছ পানির নদী। নদীতে মনে হচ্ছে অনেক মাছ আছে। নৌকার আগায় কয়েকটি বড়শি দেখা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ডাকাতরা এই বড়শি দিয়ে মাছ ধরে। ছবিতে ছবিতে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ভরে যাচ্ছে। এক সাংবাদিক বললেন, আমাদের বনের ভেতর ঢোকা উচিত। ওর ভেতর কোনো প্রাণী আছে কি না দেখা যেতে পারে।
(চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement