২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নিত্যোপন্যাস

রক্তবনে আবিদ-আসমান

-

সাতাশ.

যৌবনে কেমন খরস্রোতা ছিল। ইতিহাসে এই নদ সম্পর্কে কী বর্ণনা দেওয়া আছে। ইত্যাদি। এর মধ্যে আসমান হঠাৎ ফিসফিস করে কথা বলা শুরু করল। তার দাদুকে মোবাইলে আসা ভিডিওটা দেখাতে লাগল। বড় লোমহর্ষক ভিডিও। অদ্ভুদ। আচমকা একটি বড় গাছ-একদিকে কাত হয়ে গেল। তার গোড়া দিয়ে বেরোল এক সুড়ঙ্গ। সেই সুড়ঙ্গ পথে একে একে ঘোড়ায় চড়ে বের হতে থাকল-ডাকাত দল। সবার গায়ে একই ধরনের চামড়ার জ্যাকেট পড়া। মুখে বিশেষ ধরনের মাস্ক। শুধু চোখ দুটো দেখা যায়। কোমরের একপাশে পিস্তল গোঁজা।
অন্য পাশে চাকু। দেখে মনে হয় রণসাজে সজ্জিত। সবাই বিস্মিত হয়ে দেখতে থাকল। যে গাছটা কাত হয়ে আছে, সে গাছটাকেও চিনে ফেলল। সবার মাঝে যুদ্ধ জয়ের আনন্দ। সরফরাজ সাহেব বললেন, ‘চল, থানায় যাই। ঘটনাটা পুলিশকে জানাই।’ নীলয় বলল, ‘রাতে থানায় যাওয়া কি ঠিক হবে?’ সরফরাজ সাহেব বললেন, ‘অবশ্যই ঠিক হবে। এটা কোনো ছোট ঘটনা নয়। হইহই রইরই কাণ্ড ঘটে যাবে। চারদিকে সাড়া পড়ে যাবে। পত্রিকার সামনের পাতায় বিশাল বড় করে খবর ছাপা হবে।’ তারা থানায় চলে গেলেন। থানার দারোগা সাহেব খুব তৎপর। তিনি ভিডিওটা দেখে সাথে সাথে তার ফোর্স নিয়ে রেডি হয়ে গেলেন। সাংবাদিকদের জানানো হলো। পুলিশ জায়গাটা ঘেরাও করে ফেললেন।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement