২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নিত্যোপন্যাস

রক্তবনে আবিদ-আসমান

-

চব্বিশ.

এক বিকেলে তারা ক্যামেরা স্থাপন করে এলেন। একটি কাক-পক্ষীও জানতে পারল না। ক্যামেরাগুলোকে তাদের স্মার্ট ফোনের সাথে সংযোগ দিলো। সময়কে ভাগ করে দেওয়া হলো। কে কোন সময় মোবাইলে নজর রাখবে। সবাই সিরিয়াস। নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে। কিন্তু কই, কিছুই তো দেখা যাচ্ছে না। একদিন,দুইদিন,তিনদিন যায়। কোনো কিছুরই হদিস মেলে না।
এভাবে ১৫ দিন চলে যায়। সবার মাঝে একটা অনীহা ভাব চলে আসে। সরফরাজ সাহেব বললেন, ‘সফল হতে হলে হাল ছাড়া যাবে না। লেগে থাকতে হবে। তবেই সফলতা ধরা দেবে। চল, আজ রাতে আমরা অন্য এক মিশনে নামি।’ বলেই আঙুল দিয়ে দেখালেন, ওই যে জৈন্তাপুর বস্তি। ‘আজ রাত আমরা বস্তিতে কাটাব। দেখতে পাবি তাদের জীবন কত কষ্টের। মানুষ কত ভাবে বেঁচে আছে! যদিও তাদের কষ্ট পুরোপুরি অনুভব করতে পারবি না। তোদের কাছে অ্যাডভেঞ্চারের মতো মনে হবে। কারণ, তোরা মজার ছলে একদিনের জন্য যাবি। তবু, তাদের জীবন সম্পর্কে একটা ধারণা পাবি।’ এ কথা বলার সাথে সাথে আসমান দৌড়ে তার দাদুর কাছে এলো। বলল, ‘দাদু, একটা মজার ভিডিও মোবাইলে এসেছে। সবাই উৎসুক দৃষ্টিতে মোবাইলের দিকে তাকাল। সবার চোখে পড়ল, হস্তীশাবকের সৎকারের দৃশ্য। (চলবে)

 

 


আরো সংবাদ



premium cement