রক্তবনে আবিদ-আসমান
- মোহাম্মদ আব্দুল্লা হেল বাকী
- ০৫ জুন ২০২৪, ০০:০৫
সতেরো.
পাশেই ছিল ছোট্ট একটি জলনালি। চিৎকার দিয়ে সেটাতে পড়ে গড়াগড়ি দিতে লাগল। নীলয়রা হতভম্ব হয়ে গেল। আসমানের কী হলো? ভূত কি তাহলে তার ওপর হামলা করছে? কিছু দেখা যাচ্ছে না। তবুও আসমান চিৎকার করছে। তারা কী করবে ভেবে পাচ্ছে না। ভয় পেয়ে গেল। মন বলছে সব ফেলে দে দৌড়। কিন্তু আসমানকে ফেলে তো আর চলে আসা যায় না। তারা দুজন আসমানকে ঝাপটে ধরে ফেলল। সাথে সাথে তাদের শরীরেও চুলকানি হতে লাগল। তারা তাড়াতাড়ি বাড়ি চলে এল। তার দাদার কাছে নিয়ে গেল। উনি দেখেই বুঝে ফেললেন। বললেন, ‘তোরা আলকুশির ঝোপে ঢুকেছিলি। আলকুশি ফলের শুঁয়া গায়ে লাগলে ভয়াবহ যন্ত্রণা হয়। চুলকায়।
রক্তবনে মাংসাশী গাছও আছে।’ এ কথা শুনে তারা ভড়কে গেল। তিনি অভয় দিয়ে বললেন, ‘তবে,মানুষ ধরে গিলে খাবে ওরকম না। এই গাছটাকে ইঁদুর খেকো গাছও বলা হয়। গাছটা অনেক ছোট। আকারে ফুটবলের মতো। গায়ে ছোট্ট খোড়ল। এই খোড়লে ইঁদুর বা অন্য কোনো ছোট্ট প্রাণী ঢুকলে আর বেরোতে পারে না। এদের গায়ে এক ধরনের আঠা নিক্ষেপ করা হয়। তখন আটকে যায়। পরে আস্তে আস্তে গাছের এনজাইমের সহায়তায় গাছের খাবারে পরিণত হয়। তোরা কেন আলকুশির ঝোপে ঢুকেছিলি?’ আবিদ সব খুলে বলল। তাদের কথা শুনে তিনি খুব খুশি হলেন।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা