২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নিত্যোপন্যাস

রক্তবনে আবিদ-আসমান

-

ষোল.

বাড়িওয়ালি যাকে যাকে সন্দেহ হয়-চাল পড়া খাইয়ে ছিল। শেষে একদিন দেখা গেল বানরের হাতে সোনার হার। তছবির মতো করে হাতে ধরে-কড়ই গাছের ডালে সাধুর মতো বসে আছে। কিছুতেই হার ছাড়ছে না। পাড়ার লোক জড়ো হয়ে গেল। সবাই খুব মজা পাচ্ছে। যারা চালপড়া খেয়েছিল তাদের ধরে পানি আসল। কিন্তু কীভাবে হার উদ্ধার করা যায়! শেষে দাদুর পরামর্শে পাউরুটি ছুঁড়ে মারা হলো। কয়েকবার মারতেই বানর হার ছেড়ে পাউরুটি ধরল। হার নিচে পড়ে গেল। অনেকে চোর ঠাওরে ঢিল মারতে শুরু করল। তখন দাদু বললেন, ‘বানর তো চুরি করেনি। বাঁদরামি করেছে।
নইলে কি তোমরা এত মজা পেতে? সে তোমাদের ফ্রি ফ্রি সার্কাস দেখাচ্ছে। আর তোমরা তাকে মারছ!’ কাজেই আসল অপরাধী ধরতে হলে আমাদের লেগে থাকতে হবে। বিষয়টি অনেক রহস্যময়। এই বনে ভয়ে কেউ ঢুকে না। এই সুযোগে কিছু অপরাধী এখানে ঘাঁটি গেড়েছে। কিংবা আরো রহস্যময় কিছু হতে পারে। খুব বুদ্ধিমত্তার সাথে আমাদের কাজ করতে হবে। আসমান বলল, ‘আমরা জঙ্গলের ভেতর ঢুকে ক্যামেরাগুলো খুঁজে দেখতে পারি।’ তার কথা মতো একটা ঝোপের ভেতর ঢুকে গেল। আসমানের সারা শরীরে আলকুশির ফল লেগে গেল। অমনি সারা শরীরে প্রচণ্ড জ্বলুনি আর চুলকানি। গাছে গা ঘষতে লাগল। কিছুতেই কমছে না। (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement