রক্তবনে আবিদ-আসমান
- মোহাম্মদ আব্দুল্লা হেল বাকী
- ২৯ মে ২০২৪, ০০:০৫
তেরো.
আবিদদের পিঠ বেয়ে রক্ত ঝরছে। গায়ে গেঞ্জি মোটা জ্যাকেট সব ঠিক আছে। কোথাও কোনো দাগ নেই। অথচ পিঠে খামচির দাগ। উত্তেজনায় কারো কোনো কিছু খেয়াল ছিল না। একে অপরের পিঠ পরিষ্কার করে মলম লাগিয়ে দিলো। সবার চোখ-মুখ ভীত সন্ত্রস্ত। মনা বলল, ‘চুপি চুপি সবাই শুয়ে পড়। কেউ যেন না জানতে পারে। কাল সকালে আমরা আবার যাবো। আমার চাদরটা মনে হয় ফেলে এসেছি। তবে কেউ ভয় পেয়ো না। আমাদের অভিযানের মাত্র শুরু।
পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই তারা রক্তবনে চলে গেল। রক্তবন তাদের কাছে এখন গবেষণার বিষয়। মনা তার চাদর খুঁজতে লাগল। কোথাও চাদর নেই। যে গাছের ডালে ঘোমটা দেওয়া বউ নাচ্ছিল, সেখানেও কিছু নেই। চলে আসবে এমন আসমান চাদর দেখতে পেল। পাকুড় গাছের মগডালে চাদরটা পতাকার মতো বাঁধা। কোনো মানুষের পক্ষে এত চিকন ডালে উঠে চাদর বাঁধা সম্ভব নয়। তাদের কেউ চাদর নামানোর সাহস পেল না। মৃদু-মন্দ বাতাসে চাদর কাঁপছে। তারা অসহায়ের মতো তাকিয়ে দেখছে। এবার বাড়ি ফেরার পালা।
গভীর মনোযোগ দিয়ে পত্রিকা পড়ছেন নীলয়দের দাদা। নাকের ওপর মোটা ফ্রেমের কালো চশমা দু’পা মেলে বসে আছে। তিনি বেজার মুখে পত্রিকা থেকে চোখ সরালেন। দেশটা কী হয়ে যাচ্ছে? মানুষের মধ্যে নৈতিকতাবোধ বলে কিছু নেই! দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা