রক্তবনে আবিদ-আসমান
- মোহাম্মদ আব্দুল্লা হেল বাকী
- ২৬ মে ২০২৪, ০০:০৫
এগারো.
একবার নাকি মনার দাদা ভরদুপুরে মাছ ধরে রক্তবনের কাছ দিয়ে বাড়ি আসছিল। পাজি ভূত খালুই ধরে টান দিয়েছিল। আর অমনি জাল মেরে ভূতকে আটকিয়ে ফেলেছিল। ভূত শেষে, অনেক আকুতি-মিনতি করে, মাফ চেয়ে ছাড়া পেয়েছিল। তারই নাতি মনা। তারা ভূতকে কেয়ার করে না।
চার দিকে ফিনকি দেওয়া জোছনা। ঘরছাড়া করা। আবিদরা চুপি চুপি বেরিয়ে গেল। মনার গায়ে চাদর। নিচে একটা পাতলা গেঞ্জি। আবিদদের গায়ে মোটা জ্যাকেট। নীলয়ের নির্দেশনা মতো তারা এগিয়ে গেল। কোন কোন গাছে ক্যামেরা লাগানো হবে তারা নির্ধারণ করল। মনা তাদের কথা মতো কাজে লেগে গেল। হঠাৎ তারা প্রচণ্ড গরম অনুভব করতে লাগল। মনা চাদর খুলে কোমরে বাঁধল। আবিদরা জ্যাকেট খোলার আগেই তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে গেল। তারপর হঠাৎ করে আবার প্রচণ্ড ঠাণ্ডা অনুভূত হলো। সবকিছু কী রকম যেন অপার্থিব লাগছে। পাশে নাম না জানা গাছের ডালে কে যেন ঝাঁকি দিচ্ছে। সবাই ওদিকে তাকাতেই খেয়াল করল, ডালে ঘোমটা দেওয়া বউ বসে আছে। কালো পেড়ে সাদা শাড়ি পরা। হাতে একটা ডালি। ডালিতে কী আছে বোঝা যাচ্ছে না। সবাই ভয় পেয়ে গেল। একে অপরকে জড়িয়ে ধরল। মনা তিনজনের ভেতর ঢুকে গেল। তারা নির্বাক হয়ে বউটার দিকে তাকিয়ে আছে। বউটা মিটিমিটি হাসছে। হাসিটা খুব বিদঘুটে। আচমকা এডাল-ওডাল লাফানো শুরু করল।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা