২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নিত্যোপন্যাস

রক্তবনে আবিদ-আসমান

-

সাত.

স্যুটকেস থেকে একটা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।
চারদিকে মাছি ভনভন করছে। আমরা ভড়কে গেলাম। তোতা বলল, চল কেটে পড়ি। এর ভেতর মনে হয় কোনো লাশ আছে। আমরা ফেঁসে যাবো। মানুষ ভাববে, স্যুটকেসটা আমরা ফেলেছি। শেষে পুলিশের ঝামেলায় পড়ে যাবো। মুজিবর বলল, চলে যাওয়া ঠিক হবে না। সমস্যাকে সবসময় মোকাবেলা করতে হয়। এড়িয়ে যেতে চাইলে পেয়ে বসে। আমি ভাবলাম, মুজিবরের কথাই ঠিক। আজ হোক, কাল হোক এ স্যুটকেস মানুষের নজরে আসবে। জানাজানি হবে। শোরগোল হবে। তখন আমাদের কথা আসবে। কারণ, বনে আমাদের যাতায়াতের খবর মানুষ জানে। সেদিন আর আমাদের চাক কাটা হলো না। আনন্দের বৃন্দাবন কাঁটা বনে পরিণত হলো। মনে হচ্ছে রাজ্যের সব ঝামেলা আমাদের ওপর এসে পড়েছে। মুজিবর বলল, চল, থানায় গিয়ে পুলিশকে ব্যাপারটা জানাই। কিন্তু কিছুতেই আমার মন সায় দিচ্ছিল না। কারণ, দুই জায়গায় আমার কখনো যেতে ইচ্ছে করে না। এর এক নম্বর হলো থানা আর দুই নম্বর হলো হাসপাতাল। তবু বাধ্য হয়ে আমরা কোতোয়ালি থানায় যোগাযোগ করি। কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মাইনুল হক তার ফোর্স নিয়ে স্যুটকেসের কাছে আসলেন। লাশের আঙুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেন।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement