২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নিত্যোপন্যাস

রক্তবনে আবিদ-আসমান

-

পাঁচ.

পরের দিন রাত কালো চাদরে চারদিক ঢেকে দেওয়ার সাথে সাথে নীলয়রা বাইরে বেরোল। চুপি চুপি রক্ত বনের পাশে দাঁড়িয়ে রইল। হঠাৎ বন থেকে ছোট বাচ্চার কান্নার আওয়াজ ভেসে এলো। আবিদ আর আসমান ভয় পেয়ে গেল। বলল, চল চলে যাই। বনে ভয়াবহ ভূত আছে! নীলয় বলল, ভূত দেখার জন্যই তো এসেছি। আমি কোনো দিন ভূত দেখিনি। আবিদ সবাইকে সাবধান করে দিলো। ভূত দেখে কেউ দৌড় দেবে না। দৌড় দিলে ভূত পেয়ে বসবে। ভূতকে আমরা মোকাবেলা করব। তার হাতে পাঁচ ব্যাটারি টর্চ। যেদিক থেকে কান্নার আওয়াজ আসছে-সেদিকে টর্চের আলো ফেলল। কান্না থেমে গেল। নীলয় বলল, ভূত আলো ভয় পায়। দেখেছিস! আলো ফেলার সাথে সাথে কান্না থেমে গেছে। আসমান বলল, তাহলে তো ভূত আমাদের দেখে ফেলেছে। আমাদের যদি আক্রমণ করে! নীলয় বলল, তিনজনের সামনে আসবে না। আবিদ বলল, তাদের তো দলবল থাকতে পারে! বলতে বলতে কান্না আবার শুরু হলো। আসমান বলল, চল, আজ চলে যাই। ভূত মনে হয় রেগে গেছে! আসমানের কথায় আবিদও সায় দিলো। বলল, আমরা আবার সকালে আসব। নীলয়রা জায়গাটা চিহ্নিত করে বাড়ি চলে এলো। তাদের মধ্যে আবিষ্কারের নেশা। চরম উত্তেজনা। নীলয় বলল, দাদুকে বললে এর একটা বিহিত হয়ে যাবে। দাদু আমাদের সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন।
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement