২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নিত্যোপন্যাস

রক্তবনে আবিদ-আসমান

-

চার.

মোবাইলটা সে আমাকে ফেরত দিতে চায়। তার সততা এবং ব্যক্তিত্বের সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করে। আমি তাকে বলেছি মোবাইল ফেরত দিতে হবে না। তুমি ব্যবহার করো। তারপর থেকে তার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ হয়। আমাকে যাওয়ার জন্য বেশ কয়েকবার অনুরোধ করেছে। আমি সময় সুযোগ করতে পারিনি। ভেবেছি একবার যাব তাকে দেখতে। সে আমার অনেক অন্তরঙ্গ বন্ধু।
রাতে পেয়ারা খাওয়ার অভিযানে গিয়ে আবিদরা হঠাৎ খেয়াল করল, কালো ছায়ার মতো পাঁচটি অবয়ব পেয়ারা বাগানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা সাবধান হয়ে গেল। একটি গাব গাছের আড়ালে তারা দাঁড়াল। কালো ছায়া পাঁচটি কয়েকটি ব্যাগভর্তি পেয়ারা নিয়ে বনের ভেতর চলে গেল। আবিদরা সব খেয়াল করল। নীলয় বলল, ‘চল, চলে যাই। আজ পেয়ারা বাগানে ঢোকা ঠিক হবে না। পেয়ারা চুরি হয়েছে। এখানে বলে রাখা ভালো, পেয়ারা বাগান রক্ত বনের পাশে। রক্ত বন খুব রহস্যময় বন। এই বনে রাক্ষুসে গাছ আছে। গাছ কাটলে গাছের গা থেকে টলটলে রক্ত বের হয়। এ কারণে এ বনের নাম রক্তবন। এ বনকে সবাই ভয় পায়। কে বা কারা পেয়ারা চুরি করে বনে ঢুকে গেল। গহিন বনে তারা কোথায় থাকে! এ এক মস্ত বড় রহস্য। আবিদরা বাড়িতে চলে আসল। কিন্তু তাদের মন পড়ে রইল সেই বনে। এই রহস্য তাদের উদ্ঘাটন করতেই হবে।
(চলবে)

 

 


আরো সংবাদ



premium cement