২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নিত্যোপন্যাস

রক্তবনে আবিদ-আসমান

-

তিন.

সে কিছুতেই নামবে না। হাঁটু পানিতে নেমে দাঁড়িয়ে রইল। আমি সাঁতার কাটতে লাগলাম। আমার পরনে ছিল ঢিলেঢালা প্যান্ট আর গেঞ্জি। ভাটার সময় সাগরে নামতে হয় না।
আমি এটা জানতাম না। তোর দাদি পাড় থেকে চিৎকার করে ডাকছে। আমি কিছুতেই শুনছি না। হঠাৎ টের পেলাম-সাগরের পানি আমাকে ভেতরের দিকে টানছে। তখন একটু ভয় পেয়ে গেলাম। প্রাণপণে সাঁতরে পাড়ে উঠে এলাম। সেসময় তিনজন মাঝবয়সী লোক ভাটার টানে সাগরে চলে গিয়েছিল। তাদের আর উদ্ধার করা যায়নি। আমার প্যান্টের পকেটে ছিল দামি মোবাইল। আমার খেয়াল ছিল না। পাড়ে এসে দেখি পকেটে মোবাইল নেই। একদিকে প্রাণে বাঁচার আনন্দ। অন্যদিকে শখের মোবাইল হারানোর বেদনা। তারপরও আমরা খুশি ছিলাম। আমরা বাড়িতে চলে আসার ছয় মাস পর হঠাৎ একদিন তোর দাদির মোবাইলে একটা ফোন আসে। ভাঙা-ভাঙা ইংলিশে বলে, আপনি কি পূর্ণিমা? তোর দাদি চমকে ওঠে। কারণ তোর দাদির নাম সন্ধ্যা। আমি তাকে পূর্ণিমা বলে ডাকতাম। সে তাড়াতাড়ি মোবাইলটা আমার কাছে দেয়। আমি তার সাথে কথা বলি। কথা বলে বুঝতে পারি তিনি বিদেশী। তার বাড়ি শ্রীলংকা। তিনি নিজের পরিচয়ে বললেন, তিনি জেলে। সাগরে জাল ফেলে মাছ ধরেন। তার জালে একটা বড় হাঙর মাছ ধরা পড়ে। মাছের পেটে আমার মোবাইলটা অক্ষত অবস্থায় ছিল। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement