নাড়ুর কথা
- মৃত্যুঞ্জয় রায়
- ১১ মে ২০২৪, ০০:০০, আপডেট: ১০ মে ২০২৪, ২১:১৩
জানো, আধুনিককালের মিষ্টি আসার আগে সুপ্রাচীনকাল থেকে এ দেশের বাঙালি সমাজে বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে মুড়ি, মুড়কি, খই, নাড়ু ইত্যাদি দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন ও জলপানের রেওয়াজ ছিল। সে সময় বাড়িতে বাড়িতে এসব খাবার গৃহস্থীরা তৈরি করতেন। নাড়ু তৈরি করা হয় প্রধানত নারকেল দিয়ে। ঝুনা নারকেল ভেঙে তা কোরানি দিয়ে কুরিয়ে ঝুঝুরে ফালি বা গুঁড়া করা হয়। এরূপ নারকেলের সাথে গুড় বা চিনি পরিমাণমতো মিশিয়ে জল দিয়ে উনুনে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জ্বাল দেয়া হয়। এতে মিশ্রণে আঠালো ভাব তৈরি হয়। একে পাক আটা বলে। পাক এঁটে এলে তা উনুন থেকে নামিয়ে এলাচের গুঁড়া বা অন্যান্য সুগন্ধি মেশোনো হয়। এরপর তা শিলপাটায় বেটে কাই করে গরম থাকতে থাকতেই অল্প অল্প করে নিয়ে গুটি কেটে হাতের তালুতে তা ঘোরানো হয়। এতেই সুগোল নাড়ু তৈরি হয়। এভাবে তৈরি করা নাড়ুকে বলে নারকেলের নাড়ু। নারকেলের নাড়ু ছাড়াও এ দেশে আরো অনেক রকমের নাড়ু আছে। এগুলোর মধ্যে সুজির নাড়ু, টাটকা নাড়ু, জিরার নাড়ু, তিলের নাড়ু, চানাচুরের নাড়ু, ছাতুর নাড়ু, ক্ষিরের নাড়ু ইত্যাদি অন্যতম।
এ দেশে ফরিদপুর অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি নাড়ু তৈরি করা হয়। সেখানে বৈচিত্র্যময় নাড়ুর সংখ্যাও বেশি। নাড়ু তৈরি একটি পরিশ্রমের কাজ, এ কাজে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতারও দরকার হয়। তাই আগে এ দেশে যত রকমের নাড়ু দেখা যেত, এখন তার অনেকটাই কমে এসেছে। নাড়ুর জায়গা এখন দখল করছে মিষ্টির দোকানের নানারকম মিষ্টি। তাই আশঙ্কা হয়, কয়েক দশক পর হয়তো বাংলার নাড়ুর আর দেখাই পাওয়া যাবে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা