রিশা রাফির দিনগুলো
- সারমিন ইসলাম রত্না
- ০৫ মে ২০২৪, ০০:০০
ছয়ত্রিশ.
ওরা শহরের ছেলে-মেয়ে। গ্রামের ছেলে-মেয়েদের মতো গাছে উঠতে পারে না। ভারী জিনিস বহন করতে পারে না। আরো অনেক কিছুই করতে পারে না। সুতরাং ওদের সঙ্গে বুঝেশুনে চলবে। ওদের কখনো বিপদের মুখে ফেলবে না। কোনো ক্ষতি হলে আমরা অপরাধী হয়ে থাকব। রিশা, রাফি ওদের সরি বলতে এলো। সুমিতা রিশাকে জড়িয়ে ধরে বলল, খবরদার! সরি বলবে না। সুমন রাফির দিকে তাকিয়ে বলল, আমাদের সঙ্গে তোমাদের সরি বলার সম্পর্ক না। রিশা, রাফি সুমন আর সুমিতা একে অপরের দিকে তাকিয়ে এমনভাবে হাসল যেন কিছুই হয়নি।
রিশা রাফি ঘুম থেকে উঠেই দেখল বাবা-মা বাইরে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়েছেন। রাফি প্রশ্ন করল, তোমরা কি কোথাও যাচ্ছ? মা বললেন, হ্যাঁ যাচ্ছি। আমরা একা না তোমাদেরও সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছি। রিশা, রাফি অবাক হয়ে বলল, তার মানে? মা বললেন, তার মানে হচ্ছে আমরা ঢাকায় ফিরে যাচ্ছি। তোমরা গোছগাছ করে নাও। রিশা কাঁদো কাঁদো স্বরে বলল, আমাদের ছুটি শেষ হয়নি। বাবা গম্ভীর হয়ে বললেন, তোমাদের যা বলেছি তা করো। ওরা মন খারাপ করে জিনিসপত্র গুছিয়ে নিলো।
মামা-মামী, সুমিতা আর সুমন স্টেশনে বিদায় জানাতে এলো। মামার মন খারাপ। মামীর চোখ দুটো ছল ছল করছে। সুমিতা আর সুমন কেঁদেই ফেলছিল প্রায়। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা