২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
গল্পকথা

রিশা রাফির দিনগুলো

-

একত্রিশ.
সুমিতা বলল, চিড়িয়াখানার জন্তু দেখার মতো। রিশা হাসতে হাসতে বলল, আমরা গ্রাম দেখে অবাক হচ্ছি! তাই ওরাও আমাদের দেখে অবাক হচ্ছে!
ওরা গল্প করতে করতে ধানক্ষেতের আল ধরে হাঁটতে লাগল। রিশা, রাফি অবাক হয়ে দেখতে থাকল গ্রামের সৌন্দর্য! কৃষকেরা গরু দিয়ে হাল চাষ করছে। কেউ কেউ গাছে পানি দিচ্ছে। কেউ কেউ ছায়ায় বসে বাঁশের বাঁশিতে সুর তুলেছে। রিশা, রাফি বলল, আমরাও যদি বাঁশের বাঁশি বাজাতে পারতাম! সুমন বলল, আমরা পারি। তোমাদের শিখিয়ে দেবো।
রাফি বলল, তোরা কোচিং করিস? সুমন বলল, আমরা কোচিং করি না। স্কুলেই ভালোমতো লেখাপড়া করি। আমরা বিকেল বেলা খেলাধুলা করি। সন্ধ্যার পর পড়তে বসি। রিশা উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠল। একদল বাচ্চা ছেলে-মেয়ে দৌড়াদৌড়ি করে ছুটে এলো। ওদের হাতে অনেকগুলো ডালপালা আর গুটি। সুমন আর সুমিতাও খেলায় যোগ দিলো। রিশা, রাফিও খেলতে শুরু করল। খেলাটা কী ওরা বুঝতে পারছে না। সুমন বলল, আমরা ডাংগুলি খেলছি।
রিশা, রাফির হাতে পায়ে কাদামাটি দেখে মা গর্জে উঠলেন। কোথায় গিয়েছিলে তোমরা? আর কী করেছো? রিশা, রাফি ভয়ে ভয়ে বলল, আমরা গ্রাম দেখতে গিয়েছিলাম। বাচ্চাদের সাথে ডাংগুলি খেলেছি। বাবা রাগী স্বরে বললেন, যদি ব্যথা পেতে তাহলে কী হতো? রাফি বলল, আমরা ব্যথা পাইনি। সুমন আর সুমিতা কোচিং করে না। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement