২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
গল্পকথা

রিশা রাফির দিনগুলো

-

আটাশ,
আমি সেই কখন উঠেছি আর তুমি এখনো ফ্রেশ হওনি? রিশা উত্তর দেবে কী, সুমিতাকে অবাক হয়ে দেখতে থাকল! সুমিতা চোখে কাজল এঁকেছে। টুকটুকে লাল শাড়ি পরেছে। রিশা দুষ্টুমিমাখা হাসি দিয়ে বলল, এত সকালে সাজুগুজু কিসের জন্য? পাত্রপক্ষ দেখতে আসবে নাকি? সুমিতা হাসি দিয়ে বলল, তুমিও এসো। তোমাকেও সাজুগুজু করিয়ে দেবো। তারপর ঐ পাত্রপক্ষের সামনে তোমাকেও বসিয়ে দেবো। রিশা হি হি করে শিক্লাস সেভেনে পড়ে। রাফি ক্লাস এইটে। ওরা ভাই-বোন। একে অপরের আদরের ভালোবাসার ভাই- বোন। রিশা, রাফি গ্রীষ্মের ছুটি পেয়ে বাবা মায়ের কাছে বায়না ধরেছিল- আমরা কখনো গ্রামে বেড়াতে যাইনি। আমাদের গ্রামে নিয়ে যাও। বাবা বললেন, গ্রাম এখন গ্রামের মতো নেই। অনেকটাই শহরের মতো হয়ে গেছে। তোমাদের দাদা-দাদী কানাডায় থাকেন। কয়েক বছর পর আমরাও চলে যাবো। রিশা, রাফি প্রতিবাদের সুরে বলল, বাবা, আমরা কোথাও যাবো না। বাংলাদেশেই থাকব। বাবা ছোট একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। কিন্তু কিছু বললেন না। রিশা মন খারাপ করে বলল, আমাদের নানা-নানু জীবিত নেই। রাফি বলল, শুধু ছোটমামা আছেন। তিনি শান্তপুর গ্রামে থাকেন। মা বললেন, ঠিক আছে। তোমাদের মামা বাড়িতেই বেড়াতে নিয়ে যাবো।
(চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement