রিশা রাফির দিনগুলো
- সারমিন ইসলাম রত্না
- ৩০ মার্চ ২০২৪, ০১:১১
বিশ.
রাতে খাবারের টেবিলে বাবা ওদের ডাকলেন। বাবা চেয়ার দেখিয়ে বললেন, তোমরা আমার মুখোমুখি চেয়ারে বসো। ওরা বাবার মুখোমুখি চেয়ারে বসল। ওরা বাবার চোখের দিকে তাকাতে পারছে না। চোখ থেকে যেন আগুন ঝরছে। মা বললেন, রিশা-রাফি তোমরা শান্ত হও। তোমাদের বাবা কী বলেন তা মন দিয়ে শোনো। বাবা গম্ভীর কণ্ঠে বললেন, তোমরা ছাদে গাছ লাগিয়েছ আমি জানি। আমার কাছ থেকে দূরে দূরে থাকার চেষ্টা করছ তাও বুঝতে পেরেছি। আমি তোমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেছি। তাই তোমাদের জন্যই এ বাড়িটি তৈরি করেছি। বাড়ির ছাদ গাছ লাগানোর জন্য উপযুক্ত নয়। আমার বয়স হয়েছে। এখন এটা রক্ষা করার দায়িত্ব শুধুই তোমাদের। তোমরা আগামীকালই গাছগুলো সরিয়ে ফেলবে। রিশা, রাফির খুব কান্না পাচ্ছে। বহু কষ্টে সেই কান্না ধরে রাখার চেষ্টা করছে। মা বললেন, মন শক্ত করো। তোমাদের বাবা বহু কষ্ট করে, অনেক পরিশ্রম করে বাড়িটি তোমাদের জন্যই তৈরি করেছেন। সেটা তোমাদের বুঝতে হবে। তোমরা বাবার পরিশ্রমের মূল্য দিতে পারবে না কিন্তু তাকে সম্মান জানাতে পারবে। রিশা, রাফি মুখ নিচু করে বলল, ঠিক আছে। তোমরা যা বলছ আমরা তা করব। বলতে গিয়ে ওদের মন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। কিন্তু সেটা কেউই বুঝতে পারল না।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা