রিশা রাফির দিনগুলো
- সারমিন ইসলাম রত্না
- ১৮ মার্চ ২০২৪, ০০:১১
চৌদ্দ.
রিশা বলল, জানো ভাইয়া, আজ আমাদের অঙ্ক ক্লাসে নতুন স্যার এসেছেন। বাকিটা তুমি বুঝে নাও। বলেই রিশা হাসতে লাগল। রাফিও হেসে ফেলল। হাসতে হাসতে বলল, আমিও আজ ইংলিশ স্যারের ভুল ধরেছিলাম। তাই ধমক খেয়েছি। হঠাৎ রাফি গম্ভীর হয়ে বলল, আমরা বড়দের ভুল ধরতে পারব না। মা কাজ করতে করতে কথাগুলো শুনে ফেললেন। চোখ মুখ কঠিন করে বললেন, তোমাদের বড্ড বার বেড়েছে। স্কুল থেকে ফিরে ফ্রেশ হবে কি - তা রেখে গল্প করছ? গল্প করতে নিষেধ করছি না।
আগে ফ্রেশ হও। খাওয়া-দাওয়া করো। তারপর গল্প করো। রাফির বলতে ইচ্ছে করল, তোমরা নিয়ম বেঁধে দাও। সবসময় নিয়ম কী ভালো লাগে? কখনো কখনো নিয়মের বাইরেও যেতে ইচ্ছে করে। রিশার বলতে ইচ্ছে করল, ভেঙে ফেলতে ইচ্ছে করে সব বাধার দেয়াল। কিন্তু রিশা রাফি কিছুই বলল না। ওদের আবেগ.অনুভূতি, নিয়মের একটু অনিয়ম করা, এসব কেউ বোঝে না। কারণ সবাই মনে করে ওরা ছোট। ওদের মতো কিছু করতে দিলে ওরা ভুল করবে। রিশার হাসি হাসি মুখটা মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গেল। মা সেটা লক্ষ করলেন না। তার কাজে মন দিলেন।
দুই ভাই-বোন ফ্রেশ হলো। খাবার টেবিলে দুজনেই চুপচাপ। মা বললেন, ঠিকমতো খাচ্ছ না কেন? রাফি বলল, খেতে ইচ্ছে করছে না। রিশা বলল, আমারও একদমই খেতে ইচ্ছে করছে না। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা