রিশা রাফির দিনগুলো
- সারমিন ইসলাম রতœা
- ১১ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
দশ.
আকাশ কুয়াশা ঢাকা। বহুদূরে একটি নদী দেখা যাচ্ছে। নদীটি শুকিয়ে গেছে। একটি মেয়ে আনন্দে দৌড়াচ্ছে। তার কানে কৃষ্ণচূড়া ফুলের দুল। হাতে কৃষ্ণচূড়ার বালা। গলায় কৃষ্ণচূড়ার তাজা ফুলের মালা। পরনে হলুদ শাড়ি। আঁচল বাতাসে উড়ছে। মেয়েটির চোখে মুখে বাসন্তী রঙের আলো। চারি দিকে সেই আলোর বিচ্ছুরণ। দূর থেকে রঙ-বেরঙের অনেক পাখি উড়ে আসছে।
রিশা ছবি আঁকা শেষ করে রাফির দিকে তাকাল। রাফি ছবির দিকে তাকাল। আনন্দে রিশার মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠল। রাফি আঁকা শেষ করে রিশার ছবির দিকে তাকাল। পৃথিবীর সব রঙ যেন আজ মনে এসে লাগল। দুই ভাই-বোন খুশিতে চিৎকার দিলো। বাবা-মা ভয়ে ছুটে এলেন। অমনি দেয়ালের দিকে তাকিয়ে বিস্ময়ে হতবাক! বাবা-মা ওদের ছবি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করলেন। ততক্ষণে মায়ের চোখ ভিজে উঠেছে। রাফি লক্ষ করল, বাবার চোখ দুটো ছলছল করছে। রিশার মুখ ভার হয়ে গেল। রাফিরও মন খারাপ হলো। তারা কি খুব পচা ছবি এঁকেছে? দুজনে ভাবতে লাগল।
বাবা রাফির দিকে তাকিয়ে বললেন, দরজা খুলে দাও আর সোনার খাঁচা ভেঙে তুমি উড়ে বেড়াও। মিশে যাও ঐ প্রকৃতির সঙ্গে। তোমার আঁকা ছবির মতো। মা রিশাকে বুকে টেনে বললেন, রিশা মামনি আমার, প্রকৃতির নিয়মে সব বদল হয়। প্রকৃতির নিয়মেই পাতা ঝরে। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা