রিশা রাফির দিনগুলো
- সারমিন ইসলাম রত্না
- ১০ মার্চ ২০২৪, ০১:৪৬
নয়.
আর বলল, এমন কিছু করতে হবে যেন আমাদের না বলা কথাগুলো সবার কাছে পৌঁছে যায়। রাফি রিশা ভাবতে লাগল। কী করবে? ভাবতে ভাবতে কত সময় পেরিয়ে গেল ওরা জানেই না। মা ধমক দিয়ে বললেন, অযথা সময় নষ্ট করছ কেন? সময়টা কাজে লাগাও। এই নাও রং আর তুলি। দেয়াল জুড়ে ছবি আঁকো। সামনে আর্ট কম্পিটিশন আছে। দু’জনকে ফার্স্ট হতে হবে।
রাফি আর রিশা ভ্রু কুঁচকে রং তুলি হাতে নিলো। তারপর দেয়ালে আঁকতে শুরু করল। রাফি আঁকল একটা খোলা জানালা। জানালার পাশে পর্দা। জানালা দিয়ে দেখা যাচ্ছে নীল আকাশ। সাদা সাদা মেঘ। মিষ্টি রোদের ঝিলিক মারা আলো। গাছের সবুজ পাতা। পাতাগুলো বৃষ্টিতে ভেজা। আকাশে রংধনুর সাত রঙের রেখা। বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা, লাল। সাত রংয়ের আভা ছড়িয়ে পড়েছে। কিছুটা দূরে একটা নদী। নদীতে আজ ব্যস্ততা নেই। জানালার এ পাশে একটি সোনার খাঁচা। ভেতরে অপূর্ব সুন্দর একটি পাখি। পাখিটি খাঁচার দরজা ঠোঁট দিয়ে খুলতে চাইছে। এ যেন তার প্রাণপণ চেষ্টা। পাখির কিছু ভালো লাগছে না। সে ওই জানালার বাইরে যেতে চায়। পাখিটি প্রবল বেগে ডানা ঝাপটাচ্ছে।
রিশা আঁকলো একটি শুকনো কৃষ্ণচূড়া গাছ। গাছের পাতায় পাতায় কুয়াশা জমেছে। গাছের ডালে ডালে পাখিরা ঘুমিয়ে আছে। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা