রিশা রাফির দিনগুলো
- সারমিন ইসলাম রত্না
- ০৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
সাত.
তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করো। টেবিল গোছাতে হবে। রাফি ছোট বোন রিশার দিকে তাকাল। রিশাও বড় ভাই রাফির দিকে তাকাল। ওদের চোখগুলো কান্নায় ছলছল করছে। কিন্তু সেটা ওরাই জানল। আর কেউ জানলও না, দেখলও না।
রাফি ক্লাস এইটে পড়ে। রিশা ক্লাস সেভেনে পড়ে। দুই ভাই-বোন দারুণ মিল। একে অপরকে ছাড়া খায় না। খেলাধুলা করে না। এমনকি একজন আরেকজনকে ছাড়া বেড়াতেও যায় না। আহ! বেড়াতে যাওয়া! ওদের ওটা খুব কমই হয়। হঠাৎ রাফি বলে, ধ্যাততেরি! ভাল্লাগে না। রিশা পড়া রেখে হাত গুটিয়ে বসে থাকে। কিছুক্ষণ পর বলে, আমারও ভাল্লাগে না। শুরু হয় ভাল্লাগে না-ভাল্লাগে না সময়। তখন খেতে ভাল্লাগে না। ঘুমাতে ভাল্লাগে না। কথা বলতে ভাল্লাগেনা।
বাবা কটমটে চোখে তাকান। রাগীস্বরে বলেন, চুপচাপ বসে আছ কেন? লেখাপড়া করো। মা বলেন, আমরা তোমাদের দায়িত্ব নেব আঠারো বছর বয়স পর্যন্ত। এরপর নিজেদের খরচ নিজেরাই জোগাবে আর তা না হলে অলস হয়ে যাবে। রাফি মনে মনে ভাবে, আমি তো ক্লাস ওয়ান থেকে এইট পর্যন্ত ভালো রেজাল্ট করেছি। ভবিষ্যতেও করব আর নিজেদের খরচ নিজেরাই বহন করব। রিশা গালে হাত দিয়ে ভাবে, আমিও কখনো খারাপ রেজাল্ট করিনি। ভবিষ্যতেও করব না। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা