২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ইবনে আমাজুর

-

বলছি ইবনে আমাজুরের কথা। তিনি ইসলামি সোনালি যুগের অন্যতম মনীষী । বিশ্বসভ্যতায় অবদান রাখার জন্য ইবনে আমাজুর এখনো স্মরণীয় ও বরণীয়।
ইবনে আমাজুর ছিলেন উচ্চস্তরের জ্যোতির্বিজ্ঞানী। পরবর্তী বৈজ্ঞানিক তার পর্যবেক্ষণের নির্ণেয় ফলের দৃষ্টান্ত ব্যবহার করেন। ১১ শতকের খ্যাতিমান বৈজ্ঞানিক ইবনে ইউনুস তার বইয়ে ইবনে আমাজুরের নির্ণীত অনেক তথ্য উল্লেখ করেন।
ইবনে আমাজুর প্রথম জীবনে উদাসীন ছিলেন। পরিণত বয়সে বিজ্ঞান গবেষণায় তার প্রবল ঝোঁক হয়। তার পুত্র আবুল হাসান আলীকেও তিনি গবেষণার কাজে নিযুক্ত করেন। এমনকি তার পুত্রের বুদ্ধিমান ক্রীতদাস মুফলিওকে তিনি জ্ঞানরাজ্যে বিচরণের সুযোগ দেন। এ ক্রীতদাসকে তিনি মুক্ত করে দেন এবং নিজেদের সহকারী হিসেবে নিয়োজিত করেন। পিতা, পুত্র আর ক্রীতদাসের এই বৈজ্ঞানিক গোষ্ঠী ‘বনি আমাজুর’ নামে পরিচিতি পায়। তাদের প্রণীত অনেকগুলো জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কিত বই ও তালিকার সন্ধান পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে ‘আল খালিস’ (বিশুদ্ধ), ‘আল-মুজনুর’ (পরিবেষ্টিত), ‘আল-বদি’ (আশ্চর্যজনক)-এর কথা উল্লেখ করা যায়। এ ছাড়া ইবনে আমাজুরের মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কীয় তালিকাগুলোও গুরুত্বপূর্ণ। এসবে ব্যবহৃত হয় পারসি কাল গণনার নিয়ম।
তার জন্ম তুর্কিস্তান বা মধ্যএশিয়ার ফারগানা অঞ্চলে, ৮৮৫ সালে।


আরো সংবাদ



premium cement