রিশা রাফির দিনগুলো
- সারমিন ইসলাম রত্না
- ০২ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
চার.
আর শুয়ে থাকতে পারছে না। তাই পায়চারি করতে লাগল। হাঁটতে হাঁটতে বাবা-মায়ের ঘরের কাছে এসে থমকে দাঁড়াল। রাফিকে দেখে বাবা অবাক হলেন! কৌতূহলী কণ্ঠে প্রশ্ন করলেন, রাফি, তুমি ঘুমাওনি? রাফি কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বলল, বাবা, আমি ঘুমাইনি। তুমি জানো কেন ঘুমাইনি।
বাবা একটি অনাকাক্সিক্ষত কাজ করলেন। যার জন্য রাফি মোটেও প্রস্তুত ছিল না। বাবা একটি খাম রাফির হাতে দিয়ে বললেন, তুমি শ্রীমঙ্গলে যাও। আমার অনুমতি রইল। মা রিশার কান্না ভেজা চোখ দেখে বললেন, যাও। তুমিও বৃষ্টি বিলাসে অংশ নাও।
বাস ছাড়ার এক মিনিট বাকি। এই মুহূর্তে রাফি এসে দাঁড়াল। ওমনি বাস ছেড়ে দিলো। বাস ছুটছে। রাফিও ছুটছে। কেউ কেউ রাফিকে দেখেও না দেখার ভান করল। কেউ কেউ উচ্ছ্বসিত হয়ে বলল, ওই যে রাফি এসেছে। রাফিকে তুলে নেওয়া হোক। স্যার বললেন, বাস ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে কাউকে নেওয়ার সুযোগ নেই। ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিবাদ শুরু করল। রাফিকে আমাদের সঙ্গে না নিলে আমরা বনভোজনে যাবো না। রাফি আর্তনাদ করে উঠল। প্লিজ আমাকে নিয়ে যাও। আমি অনেক কষ্ট করে এখানে পৌঁছেছি। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিবাদে কেঁপে উঠল বাসগুলো। বাস থামানো হলো। রাফিকে তুলে নেওয়া হলো।
(চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা