রিশা রাফির দিনগুলো
- সারমিন ইসলাম রত্না
- ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০৫
চার.
বাবা ওদের দিকে তাকালেন। কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর গম্ভীর কণ্ঠে প্রশ্ন করলেন, রাফি কী হয়েছে তোমার? রাফি শান্ত স্বরে বলল, তুমি জানো আমার কী হয়েছে। বাবা রিশার দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলেন, রিশা তুমি বলো। কী হয়েছে? রিশা কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বলল, বাবা, আমার কী হয়েছে তুমি জানো। মা রাগীস্বরে বললেন, ভণিতা না করে পরিষ্কার করে বললেই হয়। রাফি উত্তেজিত স্বরে বলল, বনভোজন রেজিস্ট্রেশনের আজই শেষ দিন ছিল। আমি রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি। তোমরা অনুমতি দাওনি বলে। রিশা আক্ষেপ করে বলল, শুধু তোমরা অনুমতি দাওনি বলে আমি বৃষ্টি বিলাসের আয়োজনে অংশ নেইনি। কারণ আমরা দুই ভাই-বোন বাবা-মায়ের ইচ্ছা অনিচ্ছাকে প্রাধান্য দেই। ওরা একে অপরের দিকে তাকাল। মনে মনে ভাবল, হয়তো এমনি চলতে চলতে একদিন ভেঙে ফেলব বাঁধার দেয়াল। বাবা মা রিশা রাফির দিকে তাকালেন। গভীর দৃষ্টিতে পর্যবেক্ষণ করলেন। কিন্তু কিছুই বললেন না।
বনভোজনের বাস এক জায়গায় উপস্থিত হলো। প্রিন্সিপাল স্যার ঘোষণা করলেন, আমরা ঘণ্টাখানেক এখানে অপেক্ষা করব। যারা বনভোজনের রেজিস্ট্রেশন করতে পারেনি শুধুমাত্র তাদের জন্য।
রাফি একটুও ঘুমায়নি। সারা রাত বই পড়েই কাটিয়ে দিয়েছে। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা