রিশা রাফির দিনগুলো
- সারমিন ইসলাম রত্না
- ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
দুই.
তুমি কখনো বৃষ্টিতে ভেজোনি। বৃষ্টিতে ভিজতে গিয়ে যদি তোমার অসুখ করে তখন চিকিৎসার খরচ কি স্কুল বহন করবে? রিশা মুখ নিচু করে রইল। বাবা রাফির দিকে তাকালেন এবং গম্ভীর কণ্ঠে বললেন, রাফি, তোমাদের স্কুল থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শ্রীমঙ্গলে বেড়াতে যাবে। তুমি কখনো একা কোথাও যাওনি। যদি তোমার কোনো ক্ষতি হয়, স্কুল কি ক্ষতিপূরণ দেবে? রাফির উত্তর নেই। শুধু প্রশ্ন আছে। কেন আমাকে একা কোথাও যেতে দেওয়া হয়নি? রিশা বলতে চাইল, কেন আমাকে বৃষ্টিতে ভিজতে দাওনি? ওদের প্রশ্নগুলো প্রশ্ন হয়েই থেকে গেল। ওরা জানে প্রশ্ন করেও উত্তর পাবে না।
রাফি ক্লাস এইটে পড়ে। রিশা ক্লাস সেভেনে পড়ে। ওরা ভাই-বোন। মেঘ আর বৃষ্টির মতো একে অপরের পরিপূরক। রিশাকে কেউ কষ্ট দিলে রাফির কষ্ট হয়। ঠিক তেমনি রাফিকে কেউ কষ্ট দিলে রিশার কষ্ট হয়। তখন ওরা একে অপরের হয়ে প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু সব প্রতিবাদ বাবা-মায়ের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ে। ওদের উড়ন্ত-দুরন্ত মন অনেক কিছুই মানতে চায় না। তবু মেনে নিতে হয়। মন খারাপের দিনগুলো ভালো লাগে না। তবু ভালো লাগাতে হয়। রিশা জানালা দিয়ে বাইরে তাকাল। আকাশ কালো মেঘে ঢেকে গেছে। রিশা উচ্ছ্বসিত হয়ে বলল, ভাইয়া, চলো বাস থেকে নেমে পড়ি। বৃষ্টি হবে। আমরা বৃষ্টিতে ভিজব। রাফি বলল, সঙ্গে বই খাতা আছে ভিজে যাবে। (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা