ফুলকন্যা
- সারমিন ইসলাম রত্না
- ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০৫
ছয়.
সবুজ ঘাসের ওপর মনের অজান্তেই শুয়ে পড়লেন।
রাণী ফুলকন্যা আকাশের দিকে তাকিয়ে বললেন, কেউ যদি একটু পানি দিত। একটু খাবার দিত। আমার জীবন বেঁচে যেত। আহা! জীবন কত ক্ষুদ্র, মানুষ কত ক্ষুদ্র। আমি তো রানি কিন্তু রাণী হলেও আমি মানুষ। ক্ষুদ্র মানুষ। ফুলের তীব্র সুবাসে ফুলকন্যার ঘুম ভাঙল। ঘুম থেকে জেগে উঠেই ফুলকন্যা বিস্ময়ে হতবাক! যেদিকে তাকায় শুধু ফুল আর ফুল। এত এত ফুল কোথা থেকে এলো। ফুলকন্যা আনন্দে উচ্ছ্¦সিত হয়ে উঠলেন। খিল খিল করে হাসতে লাগলেন। অমনি ঝরঝর করে ফুলের পাপড়ি ঝরে পড়ল। সেই পাপড়ি বাতাসে ছড়িয়ে গেল। ফুলরাজ্য ফুলে ফুলে ছেয়ে গেল।
প্রজারা ফুলকন্যাকে খুঁজে বের করল। ফুলকন্যা সিংহাসনে বসলেন। ফুলকন্যার মাথায় ফুলের মুকুট পরিয়ে দেওয়া হলো। ফুলকন্যা সুন্দর দৃষ্টিতে তাকালেন। অমনি অনেক অনেক ফুল ফুটল। ফুলকন্যা মিষ্টি করে বললেন, আমার প্রিয় প্রজারা, আমি তোমাদের সেই ফুলকন্যা হয়ে ফিরে এসেছি। ফুলকন্যার কথায় মিষ্টি সুবাস ছড়িয়ে পড়ল। ফুলকন্যা সুন্দর করে হাসলেন। ফুলকন্যার হাসিতে ফুলের পাপড়ি ঝরে পড়ল। সেই পাপড়িতে ভেসে উঠল একটি লেখা-
কারো কথায় প্ররোচিত হতে নেই।
আমরা মানুষ তাই অহঙ্কার করতে নেই। (শেষ)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা