ডুবোজাহাজের কথা
- সেলিম বুলবুল চৌধুরী
- ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০৫
বলছি, ডুবোজাহাজ বা সাবমেরিন হচ্ছে বিশেষ ধরনের জাহাজ। এটি শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ডোবানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। এ জাহাজ পানিতে ডুব দিয়ে চলতে পারে।
নৌযুদ্ধে ডুবোজাহাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সবচেয়ে বেশি ডুবোজাহাজ ব্যবহার করা হয় প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে।
প্রখ্যাত ফরাসি লেখক জুল ভার্ন (১৮২৮-১৯০৫) ডুবোজাহাজ নিয়ে একটি বই লিখেন। বইটির ইংরেজি নাম টোয়েন্টি থাউজ্যান্ড লিগ্স আন্ডার দ্য সি। ডুবোজাহাজ তৈরি করার প্রথম প্রচেষ্টা চালান রবার্ট ফুলটন। তবে তিনি পুরোপুরি সফল হননি। বিশ্বের প্রথম ডুবোজাহাজ তৈরি করা হয় ১৯ শতকের শেষার্ধে। আবিষ্কারের শুরু থেকেই এটি নৌযুদ্ধের বিশেষ অবলম্বন। শত্রুর যুদ্ধজাহাজ ডোবানোর হাতিয়ারবিশেষ। ডুবোজাহাজ থেকে টর্পেডো ছুড়ে যুদ্ধজাহাজ ডুবানো হয়। টর্পেডো এক ধরনের বোমা। আধুনিক ডুবোজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যায়। এমনকি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও ছোড়া যায়।
কিছু দেশ ডুবোজাহাজে পরমাণু শক্তি ব্যবহার করছে। সাধারণ ডুবোজাহাজ সাধারণত চার-পাঁচ হাজার মাইল গেলে তেল বা জ্বালানি নেয়। পারমাণবিক ডুবোজাহাজ একদমে তিন লাখ মাইল যেতে পারে। তার মানে একবারের ব্যবস্থায় এ জাহাজ সাড়ে তিন বছর চলাফেরা করতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন পারমাণবিক ডুবোজাহাজের অধিকারী। কিছু দেশ গোপনে বা ভাড়ায় এ ধরনের শক্তিশালী ডুবোজাহাজের অধিকারী হয়ে থাকতে পারে। ডুবোজাহাজ পেরিস্কোপের (দেখার যন্ত্রবিশেষ) সাহায্যে শত্রু জাহাজের অবস্থান দেখে নেয়। এরপর ব্যবস্থা নেয়।
আজকাল সবচেয়ে বেশি ডুবোজাহাজের অধিকারী দেশগুলো হচ্ছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, তুরস্ক, ভারত, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি । এ দেশগুলো বড় নৌশক্তি। বর্তমানে ইরানও একটি বড় নৌশক্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা