কাতাং মানুষ
- সেলিম বুলবুল চৌধুরী
- ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
কাতাংদের কথা বলছি। এরা একটি নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী, যাদের বসবাস লাওসে। এদের বেশির ভাগ বাস করে দেশটির সাভান্নাখেত, সারাভান ও চাম্পাসাক প্রদেশে। অবশ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কোনো কোনো অঞ্চলে কিছু কাতাং দেখা যায় । মোট কাতাং জনসংখ্যা প্রায় দেড় লাখ। এরা কথা বলে কাতাং ও লাও ভাষায়।
কাতাংরা লাও থেউং জাতির অংশ; লাও থেউংদের একটি উপশাখা।
কাতাং নারী ও পুরুষ উভয়ে সাজসজ্জার প্রয়োজনে কানের লতি ছিদ্র করে এবং এর ভেতর ঢোকায় বাঁশের নল। অবশ্য তরুণ প্রজন্মের মাঝে এই প্রথা তেমন দেখা যাচ্ছে না।
কাঠের তৈরী লম্বা বাড়ি বা ঘরে বাস করতে পছন্দ করে কাতাংরা। এর নাম লম্বাঘর। প্রত্যন্ত অঞ্চলের কিছু কাতাংয়ের ঘর পাতায় ছাওয়া। কাতাং লম্বাঘর কাতাংদের ঐতিহ্য। শত শত বছর ধরে একই ছাদের নিচে অনেক পরিবার বাস করে। কারো বিয়ে হলে ঘর বর্ধিত করা হয়। এভাবে নয়া দম্পতি এবং তাদের শিশুদের জন্য ঘর বর্ধিতকরণ চলে বংশ পরম্পরায়। সারাভান টাউনশিপ থেকে ৪০ মাইল দূরে তুমলান গ্রামে পর্যটকরা এখনো ১০০ মিটার (৩২৮ ফুট) লম্বা একটি লম্বাঘর পরিদর্শন করতে পারেন। এ ঘরে বাস করে ত্রিশটি ভিন্ন পরিবার।
ঐতিহ্যবাহী কাতাং বস্ত্র বিচিত্র রঙ ও ঘরানার জন্য বিখ্যাত। কাতাং এলাকা ভ্রমণকারী এশীয় ও পশ্চিমারা এ বস্ত্রের ক্রেতা। বেশির ভাগ কাতাং পুরনো নৃতাত্ত্বিক বিশ্বাস অনুসরণ করে। কেউ বা পালন করে বৌদ্ধ ধর্ম। কিছু কাতাং খ্রিষ্ট ধর্মের অনুসারী।
বর্তমানে অনেক কাতাং পাহাড়ি এলাকা ছেড়ে সমতলে নেমে এসেছে। এখানে এরা এদের সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলছে; লাও সংস্কৃতি ধারণ করছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা