২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সাইকেল ইতিবৃত্ত

-

বলছি, তোমরা অনেক কিছু জানো। সাইকেল সম্পর্কে নিশ্চয় তোমাদের ভালো ধারণা আছে, তাই না?।
সাইকেলের অপর নাম কী? দ্বিচক্রযান। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, রেলগাড়ি আবিষ্কারের পরে ধাতুর তৈরী সাইকেল আবিষ্কার হয়। রেলগাড়ি আবিষ্কার হয় ১৯ শতকের প্রথম দিকে, আর ধাতুর তৈরী সাইকেল আবিষ্কার হয় ১৯ শতকের শেষের দিকে। ১৯ শতকের প্রথম দিকে অবশ্য একধরনের হাঁটার যন্ত্র আবিষ্কার হয়, যা কাঠের তৈরী। ১৮১৭ সালে ব্যারন ভন ড্রেইজ নামে এক জার্মান এক দিন একটা হাঁটার যন্ত্র নিয়ে বেড়াতে এলেন রয়েল গার্ডেনে। দু’টি সমান আকারের চাকা, সামনের চাকাটা ঘোরানো যায়। দু’টি চাকা একটা কাঠের ফ্রেমে লাগানো। মাটিতে পা দিয়ে ধাক্কা দিয়ে দিয়ে সেই হাঁটার যন্ত্র চালাতে হয়। ওই যন্ত্রটি আদি বাইসাইকেল হিসেবে স্বীকৃত। তখন সে সাইকেলে না ছিল কোনো প্যাডেল, না ছিল চেইন। তাই পা ঘুরানোর প্রশ্নই উঠত না। সেটাই ছিল মানুষের সাইকেলজাতীয় প্রথম বাহন। বলা যায়, সে বাহনটি ছিল কাঠের তৈরি। ড্রেইজের তৈরি সেই বাহনটির নামও সেকালে দেয়া হয়েছিল ডেইজেন, যার অর্থ ছিল শখের ঘোড়া। ঘোড়ার মতোই তাতে চড়ে মাটিতে ধাক্কা দিয়ে দিয়ে চলতে হতো। তবে সে হাঁটার যন্ত্র বা বাহনের চলাচল কেবল ওই উদ্যানের ভেতরেই সীমাবদ্ধ ছিল, পথে চলত না। ১৮৬৫ সালে এসে সাইকেলে প্যাডেল যুক্ত হয়। তাতে সাইকেলের গতি বেড়ে যায়। তবে তখনো সাইকেল ছিল কাঠের তৈরি। ১৮৭০ সালে আসে ধাতুর তৈরি বাইসাইকেল। ছোটদের জন্য সাইকেল আসে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর। তার মানে ১৯১৮ সালের পরে।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল