কারুন নদী
- সেলিম বুলবুল চৌধুরী
- ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
বলছি কারুন নদীর কথা। এটি ইরানের সবচেয়ে বড় নদী, বিখ্যাত স্রোতধারা; একমাত্র নাব্য নদী। এ নদীর উৎপত্তি জাগ্রোস পর্বতশ্রেণীর জার্দ কুহ পর্বতমালায় । নদীটি চাহারমহল ও বখতিয়ারি এবং খুজেস্তান প্রদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ইরান-ইরাক সীমান্তের শাতিল আরব নদীতে মিলিত হয়েছে। আর এই দুই নদীর মিলিত স্রোতধারা পতিত হয়েছে পারস্য উপসাগরে। শাতিল আরবকে ইরানিরা বলে আভান্দ রুদ্।
কারুন নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৯৫০ কিলোমিটার। এর রয়েছে কয়েকটি উপনদী। এগুলোর মধ্যে দেজ ও কুহরাং উল্লেখযোগ্য। উপনদীগুলোর স্রোতধারা কারুনকে বেশ পুষ্ট করেছে।
কারুন নদী এর বদ্বীপে দু’টি প্রধান শাখায় বিভক্ত হয়ে শাতিল আরবে পড়েছে। শাখা দু’টির নাম বাহমানশির ও হাফার। এ দু’শাখার মাঝে গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপ আবাদানের অবস্থান। বন্দরনগরী খুররমশাহরকে আবাদান দ্বীপ থেকে বিভক্ত করেছে হাফার শাখা।
কারুন নদী এলামীয় সভ্যতার জন্য বিখ্যাত। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে এ নদীর ধারে সভ্যতাটি গড়ে ওঠে।
বিখ্যাত নির্বাক প্রামাণ্যচিত্র গ্র্যাস : আ ন্যাশন’স ব্যাটল ফর লাইফ (১৯২৫)-এ প্রতিফলিত হয়েছে বখতিয়ারি উপজাতির জীবনযাত্রা, তুলে ধরা হয়েছে ৫০ হাজার মানুষ এবং পাঁচ লাখ প্রাণীর কারুন নদী পার হওয়ার গল্প।
গত শতকের ইরান-ইরাক যুদ্ধে ইরানিরা সীমিত সামরিক শক্তির সাহায্যে বীরত্বের সাথে ইরাকের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয় এই কারুন নদীর ধারে।
ইরান কারুন নদীতে নয়া জলবন্ধন (ড্যাম) নির্মাণ করায় ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ বসরার তিন জেলাকে দুর্যোগ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছিল। কারণ নয়া জলবন্ধনগুলোর জন্য শাতিল আরবে দারুণ লবণাক্ততা বাড়ে; খামার ধ্বংস হয় এবং গবাদিপশু হুমকির মুখে পড়ে। এ এলাকার বেসামরিক মানুষ সরিয়ে নেয়া হয়।
কারুন নদীতীরবর্তী বিখ্যাত শহরগুলো হচ্ছে- শুস্তার, আহভাজ ও খুররমশাহর।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা