একটি গ্রামে একটি জাতি
- সেলিম বুলবুল চৌধুরী
- ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০৫
জানো, ‘খিনালুগ’ আজারবাইজানের একটি গ্রামের নাম । এ গ্রামের অপর নাম জিনালিক। বৃহত্তর ককেশাস পর্বতমালায় এর অবস্থান। এটি আজারবাইজানের সবচেয়ে উঁচু গ্রাম। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় দুই হাজার ৫০০ মিটার। এ পার্বত্য গ্রামে একটি ক্ষুদ্র জাতি বাস করে। জাতিটির নামও খিনালুগ । তার মানে খিনালুগ গ্রামে খিনালুগ জাতি বাস করে। এ গ্রামের সবাই খিনালুগ নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর, কয়েকজন নারী বাদে।
খিনালুগ জনসংখ্যা প্রায় ২ হাজার ২৩৩। খিনালুগরা কথা বলে খিনালুগ ভাষায়। এটি উত্তরপূর্ব ককেশিয়ান ভাষা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। কিছু আজারবাইজানি ভাষায়ও কথা বলতে পারে। খিনালুগরা ঘর তৈরি করে পাথর দিয়ে। এগুলোর ছাদ ঐতিহ্যবাহী চ্যাপ্টা মাটি-কাঠের। এগুলো থেকে নিচে নামা বা রাস্তার সাথে সংযোগের জন্য কাঠের মই ব্যবহার করা হয়।
খিনালুগরা ইসলাম ধর্মের অনুসারী; সুন্নি মুসলমান। এদের গ্রামের জীবনে ধর্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
খিনালুগ গ্রাম বিশ্বের প্রাচীন জনবসতিগুলোর একটি। প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগেও এখানে জনবসতি ছিল। ৩ শতকের আগে এখানকার মানুষ জরোথস্ত্রবাদে বিশ্বাসী ছিল। এরপর এরা খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করে। ৭ শতকে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নেয়।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বেশ উচ্চে আবাসভূমির কারণে খিলানুগরা আক্রমণকারী ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে টিকে আছে। এখানকার অনেক জায়গা বা স্থাপনা এখনো রয়েছে অক্ষত। এগুলো জরোথস্ত্রবাদের পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত। এখানকার অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ১২ ও ১৫ শতকের মসজিদ, প্রাচীন সমাধিস্থল। এ ছাড়া রয়েছে প্রাচীন মানুষের গুহা।
খিনালুগ গ্রামের রয়েছে সুন্দর ভূ-দৃশ্য এবং তুলনামূলক নির্জনতা। তাই এটি পরিব্রাজক ও রোমাঞ্চসন্ধানী পর্যটকদের একটি বিশেষ গন্তব্যস্থল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা