ইজমির ঘড়ি বুরুজ
- লোপাশ্রী আকন্দ
- ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
জানো, ইজমির ঘড়ি বুরুজ ওসমানীয় (অটোমান, তুর্কি) স্থাপত্যের এক অপূর্ব নিদর্শন। এর স্থপতি ছিলেন রেমন্ড চার্লস পিয়ের। জাতিগত ফরাসি এই স্থপতি ১৮৫৪ সালে ইজমিরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ওসমানীয় সাম্রাজ্য ভেঙে যাওয়ার পরে ১৯২৯ সালে ইজমিরেই মৃত্যুবরণ করেন। স্থাপত্য ক্ষেত্রে ইজমির বুরুজ তার অসামান্য কীর্তি।
তুরস্কের বিখ্যাত বন্দরনগরী ইজমির। এর ঐতিহাসিক নাম স্মার্না। এ নগরীর রয়েছে প্রায় তিন হাজার ৫০০ বছরের ইতিহাস। এ
ঐতিহাসিক নগরীতেই রয়েছে ঐতিহাসিক ঘড়ি বুরুজ (ক্লক টাওয়ার), ইজমির ঘড়ি বুরুজ । তুর্কিরা একে বলে ‘ইজমির সাত কুলেসি’। আর ইংরেজিভাষীদের কাছে এর পরিচিতি ইজমির ক্লক টাওয়ার নামে।
ওসমানীয় সাম্রাজ্যের (তুরস্ক) সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদের সিংহাসনে আরোহণের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বুরুজটি নির্মাণ করা হয়। এতে যে ঘড়ি স্থাপন করা হয়েছে তা তৎকালীন জার্মান সাম্রাজ্যের সম্রাট (কাইজার) দ্বিতীয় উইলহেলমের দেয়া উপহার। উইলহেলমের শাসনকাল ১৮৮৮-১৯১৮। আর সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদের শাসনকাল ১৮৭৬-১৯০৯।
বুরুজটির উচ্চতা ২৫ মিটার বা ৮২ ফুট। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ভিত্তিমূলে বৃত্তাকারে থাকা চারটি ঝরনা এবং উত্তর আফ্রিকান চিন্তাশৈলীর স্তম্ভগুলো।
১৯৮৩-১৯৮৯ সালে তুর্কি ৫০০ লিরার ব্যাংকনোটের উল্টোপিঠে ইজমির ঘণ্টা বুরুজ অঙ্কিত রয়েছে।
ওসমানীয় সাম্রাজ্যের সাবেক বল্কান প্রদেশগুলো, বিশেষ করে আজকের সার্বিয়া, বসনিয়া ও মন্টেনেগ্রোর বেলগ্রেড, প্রিজেপুলজে, সারায়েভো, বানজালুকা প্রভৃতি শহরে ওসমানীয় যুগের ঘড়ি বুরুজের মতো বুরুজ রয়েছে।
এগুলোকে বলা হয় ‘সাত কুলা’ যা এসেছে তুর্কি শব্দ সাত কুলেসি (ঘড়ি বুরুজ) থেকে। এ বুরুজগুলোতে ইজমিরের ঘড়ি বুরুজের বৈশিষ্ট্য আছে বলে মনে করেন অনেকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা