মনীষী ইবনে সাঈদ
- লোপাশ্রী আকন্দ
- ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
বিশ্ব সভ্যতায় মুসলমানদের অবদান অসামান্য। এ ক্ষেত্রে মুসলিম-শাসিত স্পেনের কথা বলা যায়। ৭১১-১৪৯২ সাল পর্যন্ত স্পেন ছিল মুসলিম-শাসনাধীন। এ সময় স্পেনের অনেক মুসলমান মনীষী জ্ঞান-বিজ্ঞান-ইতিহাসে আলো ছড়ান। এদেরই একজন ইবনে সাঈদ। সাঈদ আল-আন্দালুসি নামেও তার পরিচিতি আছে। তার জন্ম স্পেনের আলমেরিয়ায়, ১০২৯ সালে আর মৃত্যু টলেডোয়, ১০৭০ সালে। ৯৫৫ সালে আলমেরিয়া শহরটি প্রতিষ্ঠা করেন কর্ডোভার খলিফা তৃতীয় আব্দুর রহমান।
ইবনে সাঈদ আন্দালুসিয়া (স্পেন) কাজি (বিচারক) হিসেবে কাজ করেন। জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় তার ঝোঁক ছিল খুব। বিশ্ব ইতিহাসেও তার জ্ঞান অপরিসীম। তার মানে একই সাথে তিনি বিচারক, বিজ্ঞানী ও ঐতিহাসিক।
ইবনে সাঈদ টলেডোর মানমন্দিরে গ্রহ-উপগ্রহ ও নক্ষত্রের পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানের পর্যবেক্ষণ কাজে তাকে আল-যারকালি স্থান দেন। যারকালি স্পেনের অধিবাসী এবং আকাশ ও তারকাবিদ্যায় উচ্চস্তরের বিজ্ঞানী। তিনি সাঈদের পর্যবেক্ষণ ফল ও গণনা অভ্রান্ত হিসেবে তার তালিকা গ্রহণ করেন।
বৈজ্ঞানিকের চেয়ে একজন ঐতিহাসিক হিসেবে ইবনে সাঈদ বেশি খ্যাতিমান। বিশ্ব ইতিহাস রচনায় তিনি দক্ষতা দেখান। তার বিশ্ব ইতিহাস বইয়ের নাম কিতাবুত তারিফ বি তাবাকাতুল উসাস। জানা যায়, এর আগে এমন ব্যাপক বিশ্ব ইতিহাস কেউ রচনা করেননি। তার ইতিহাস রচনায় বিজ্ঞানের ইতিহাসও এসেছে। কারণ তিনি নিজে বিজ্ঞানী। তার মতে, বিজ্ঞানের উন্নতির মূলে রয়েছে বিশ্বের আটটি সভ্যতার অবদান। সভ্যতাগুলো হচ্ছে- ভারতীয়, পারসিক, ক্যালডীয়, গ্রিক, ল্যাটিন, মিসরি, মুসলিম ও ইহুদি। আর এ সভ্যতাগুলোর মধ্যে মুসলিম ও গ্রিকদের অবদানই বেশি। ইবনে সাঈদের বিশ্ব ইতিহাস বইটি ল্যাটিনে অনুবাদ করা হয়। ১৯১২ সালে পাদ্রি লুই চেকো বৈরুত থেকে ভাষ্যসহ এটি প্রকাশ করেন। বইটির কোনো ইংরেজি অনুবাদ হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।
জ্ঞানবিশ্বে ইবনে সাঈদ এখনো স্মরণীয় ও বরণীয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা