২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নি ত্যো প ন্যা স

ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ

-

পঁচাত্তর.
মেঝের একটা জায়গা থেকে কাঠের পাটাতন সরাতেই বেরিয়ে পড়ল গুহামুখ। সবাই অবাক হয়ে সেদিকে দেখতে লাগল।
নিলয় ভয় ভয় গলায় বলল, ‘চল এই ফাঁকে চলে যাই। বিজ্ঞান স্যার এতক্ষণে ক্লাসে এসে পড়েছে।’
সজীব গম্ভীর স্বরে বলল, ‘তোরা যা। আমি যাবো না।’
এক্সম্যান স্যার তলকুঠুরি থেকে বেরিয়ে এলেন। লোমশ হাতে একটা হলদে খামের মতো কি যেন একটা। ‘এখানে যে টাকা আছে তাতে কেমিক্যালগুলো হয়ে যাওয়ার কথা। তবে দামটাম বাড়তে পারে ভেবে আরো কিছু টাকা দিয়েছি। আর তোরা বাকি টাকা দিয়ে কোনো দোকানে বসে বার্গার-টার্গার খেয়ে নিস। আজ তো তোদের টিফিন হয়নি?’
সজীবই হাত বাড়িয়ে টাকার খামটা নিল। ‘স্যার কী কী কেমিক্যাল আনতে হবে?’
‘হুঁ। এইখানে একটু ঘাপলা আছে। আমি মুখে বলে দিলে মনে রাখতে পারবি না। আর কেমিক্যালের দোকান থেকে দেবেও না। এই কেমিক্যালগুলো ভয়ঙ্কর। এসিড জাতীয়। এজন্য আমি কেমিক্যালের লিস্টির সাথে একটা ছোট্ট চিরকুট লিখে সই করে দিচ্ছি। লায়ন কেমিক্যালসে নিয়ে গিয়ে ওখানে প্রোপাইটার নিয়ামূল করিমকে খোঁজ করবি। তার হাতে দিলে আমার সাইন করা দেখলে তোদের হাতে কেমিক্যালগুলো দেবে। কি বলছি বুঝতে পেরেছিস।’ এক্সম্যান খাম বাড়িয়ে দিতে দিতে বললেন, ‘আমি খামের উপর নাম ঠিকানা সব লিখে দিয়েছি, যাতে ভুলে না যাস।’ (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement