২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নি ত্যো প ন্যা স

ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ

-

একাত্তর.

নিলয় আর রাফি চিৎকার গিলে ফেলল। ভয়ে। ওরকম গরিলা আর শিম্পাঞ্জির হাসজারু সংস্করণের একজন জংলি প্রাণীকে চোখের সামনে দেখলে কে আর সুস্থ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
জংলি মানুষটার কবলে রিমি ছোট্ট একটুখানি হয়ে গেছে। শুধু সজীব মিটিমিটি হেসে তাকিয়ে আছে এক্সম্যানের দিকে।
সজীব অপরাধী কণ্ঠে বলল, ‘ভুলটা আমারই হয়েছে। ব্যাঙ ইঁদুর সম্বন্ধে তোদের সবক দিলেও আসল মানুষটার কথাই বলা হয়নি।’ সে এক্সম্যানের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘এক্সম্যান স্যারকে কেমন দেখতে পাবি এটাই বলতে ভুলে গিয়েছিলাম।’
রাফি আর নিলয় চোখ কপালে তুলে জংলি মানুষটার দিকে তাকিয়ে বলল, ‘এক্সমান স্যার!’
‘হ্যাঁ। আমিই তোমাদের হতভাগ্য এক্সম্যান স্যার।’ এক্সম্যান স্যার দীর্ঘশ্বাস ফেলে রিমিকে ছেড়ে দিলেন। তারপর সজীবের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আর তুই যে এরকম দলবল নিয়ে রুমের ভেতরে ঢুকে পড়বি সেটাও তো আমাকে জানাসনি!’
‘আমি কি জানতাম স্যার! ওদের সাথে আপনার কথা বলতেই ওরা আপনাকে হেল্প করতে চাইল।’
এক্সম্যান স্যার বিষণ্ন হাসলেন। জংলি লোমশ মুখের আড়ালে সে হাসি চাপা পড়ে গেল। ‘শিক্ষকরা ছাত্রদের হেল্প করে এখন ছাত্রদের হেল্প আমার সত্যিই দরকার।’
‘আপনি এভাবে রুমের ভেতরে বসে থাকবেন কে জানত! নিচেই থাকেন বলে তো বলেছিলেন।’ (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement