২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নি ত্যো প ন্যা স

ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ

-

উনসত্তর.
সবাই তারের খোঁজে চারিদিকে তাকাতে লাগল। হঠাৎ রিমি বলে উঠল, ‘আমার মাথার ক্লিপ বাঁকিয়ে কাঁটার মতো করা যায়। কাজে লাগে কিনা দেখবি?’ সে চুল থেকে ক্লিপ খুলে নিলয়ের হাতে দিলো।
নিলয় বাঁকিয়ে নিয়ে বলল, ‘ফার্স্ট কাস। এতেই কাজ হবে।’ তারপর মিনমিন করে বলল, ‘না হলে বুঝতে হবে কোনো তারেই কাজ হবে না।’
রিমি ভাব ধরে বলল, ‘অ্যাডভেঞ্জারে একজন মেয়েকে সাথে নেয়া উপকার আছে, কি বলিস?’
রাফি বলল, ‘আগে তালাটা খুলল।’
খুট করে তালা খুলে গেল। নিলয়ই হাতে তালাটা রেখে সজীবের দিকে তাকাল। অর্থাৎ রুমের ভেতরটা তোর পরিচিত তুই আগে ঢোক।
সজীব দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে পেছন ফিরে বলল, ‘ঘরের ভেতরে ইয়া বড় বড় ব্যাঙ ইঁদুর দেখে যেন ঘাবড়ে যাসনে! চিল্লিয়ে মাথায় তুলিসনে। ওগুলো এক্সম্যান স্যারের এক্সপেরিমেন্ট।’
রিমি নাকমুখ কুচকে বলল, ‘ইয়া বড় বড় সাইজের তেলাপোকা নেই তো? ব্যাঙ ইঁদুর সহ্য করতে পারব। তেলাপোকা সহ্য করতে পারব না।’
নিলয় বলল, ‘একসময় তেলাপোকা ইয়া বড় বড় সাইজেরই ছিল। বিবর্তনের ফলে ছোট্ট হয়ে গেছে।’
‘বড় হোক ছোট হোক তেলাপোকা তেলাপোকাই।’ রিমি এখন নাকমুখ কুঁচকে আছে। রাফি ধমক লাগাল, ‘কি তেলাপোকা তেলাপোকা করছিস! ভেতরে ঢোক!’
রিমি নাকে কাপড় দিয়ে কাসরুম ৩৬৫তে ঢুকেই গগনবিদারী চিৎকার দিতে যাচ্ছিল। তখনই কেউ একজন ভেতর থেকে তার মুখ এঁটে ধরল। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement