২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
নি ত্যো প ন্যা স

ক্লাসরুমে ক্ল্যাশ

-

আটষট্টি.
পায়ের শব্দ মিলিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত চারজনই ঘাপটি মেরে বসে রইল। প্রথমে সজীবই নিঃশব্দে দরজা খুলে মুখ বাড়িয়ে দু’দিকে দেখল। কোথাও কেউ নেই। সে ইশারা করতেই একে একে পা টিপে বেরিয়ে এলো সবাই।
নিলয় ভয় ভয় গলায় বলল, ‘অনেক অ্যাডভেঞ্জার হয়েছে। এখন ক্লাসে ফিরে যাই চল।’ সে ঘড়ি দেখল। ‘ক্লাসের ঘণ্টা পড়তে আর খুব বেশি দেরী নেই।’
সবাই সজীবের মুখ চাওয়াচাওয়ি করল। সবাই মনে মনে ওকে অঘোষিত লিডার মেনে নিয়েছে। এরপর বিজ্ঞান স্যারের ক্লাস। ওদেরকে ক্লাসে না দেখলে ঠিকই সন্দেহ করতে পারে।
সজীব ক্লাসরুম ৩৬৫র দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বলল, ‘তোরা না গেলেও আমাকে যেতে হবে। আমি কথা দিয়েছি।’ সে দৃঢ় কণ্ঠে বলল, ‘স্যারের সাথে আমি কথার বরখেলাপ করতে পারব না।’
সবাই সজীবের পিছু নিল। এখনো মিনিট পনেরোমত সময় আছে। দেখাই যাক না কি হয়! ক্লাসরুম ৩৬৫ তালা দেয়া। সেই পুরানো তালাটাই। প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে চাবি ছিল। তাই দিয়ে খুলেছে, লাগিয়েছে। কিন্তু তারা তালা খুলবে কি করে?
রাফি ফিসফিস করে বলল, ‘তালা লাগানো। ঝামেলা বাড়িয়ে কাজ নেই। আমাদের কাছে তো চাবি নেই। তালা খুলবি কী করে?’
ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করার কথা ভাবছিল সজীব। তার আগেই নিলয় বলল, ‘একটা মোটা তার জাতীয় কিছু হলে এই পুরানো তালা খোলা ওয়ানটুএর ব্যাপার।’ হাতেকলমে বিজ্ঞান নিয়ে নিলয় অনেক উৎসাহী।
(চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement