২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

হোসেন সাগর

-

জানো, নাম ‘হোসেন সাগর’ হলেও আসলে কিন্তু এটি কোনো সাগর নয়। একটি হ্রদ। হ্রদটি ভারতীয় মুসলমানদের অন্যতম কীর্তি। এটি নির্মাণ করেন হজরত হোসেন শাহ ওয়ালি। তিনি ছিলেন গোলকোন্ডার একজন সুফিসাধক। মুসি নদীর একটি শাখার ওপর হ্রদটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণকাল ১৫৬২ সাল। হোসেন সাগরের অবস্থান বর্তমান ভারতের বিখ্যাত শহর হায়দরাবাদ ও সেকান্দারাবাদে। নগরের পানির চাহিদা মেটানো ও পানি সেচের জন্য হ্রদটি নির্মাণ করা হয়। হ্রদটি আয়তনে তেমন বড় নয়, মাত্র ২৪ বর্গকিলোমিটার। তবে এর রয়েছে ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং এখনো রয়েছে এর প্রয়োজনীয়তা। সাগর সমতল থেকে হ্রদের উচ্চতা এক হাজার ৭৫৯ ফুট। এ হ্রাদের সর্বোচ্চ গভীরতা ৩২ ফুট। ১৯৯২ সালে হ্রদের মাঝে একটি বৌদ্ধমূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়, এটি যেন একটি দ্বীপ। হোসেন সাগরের ধারে রয়েছে বিখ্যাত লুম্বিনি উদ্যান, একটি বিনোদন উদ্যান। ছোট-বড় সবাই পছন্দ করে উদ্যানটি এবং সেই সাথে হ্রদকে। গাছগাছালি, হ্রদের ধার ঘেঁষে চলে যাওয়া রাস্তা, দালানের গঠন সব কিছু মিলে হ্রদ এলাকায় রয়েছে স্বপ্লিল পরিবেশ। এটি হায়দরাবাদের সভ্যতা ও ঐতিহ্যের এক অনবদ্য স্মারক। নৌকায় হ্রদে ঘুরে বেড়ানোর রয়েছে চমৎকার ব্যবস্থা। হ্রদের ‘হোসেন সাগর’ নামটি হোসেন শাহ ওয়ালির প্রতি গোলকোন্ডার শাসক ইব্রাহিম কুলি কুতব শাহের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। কথিত আছে, সুফি হোসেন শাহ ওয়ালি রোগ নিরাময়ে ইব্রাহিম কুলি কুতব শাহকে সাহায্য করেন। আর শাসক এই হ্রদ নির্মাণে সহায়তা করেন। ইব্রাহিম কুলি কুতব শাহের শাসনকাল ১৫৫০-১৫৮০। একসময় গোলকোন্ডা ছিল দক্ষিণ ভারতের মুসলমান শাসিত একটি বেশ বড় রাজ্য।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল