২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

কনডোর

কনডোর -

জানো, কনডোর দক্ষিণ আমেরিকার এক ধরনের বড় আকারের শকুন। এরা পৃথিবীর অন্যতম বিরল প্রজাতির পাখি। অবাধ শিকার, পরিবেশ দূষণ ও অন্যান্য কারণে কনডোর গোষ্ঠীর সংখ্যা বিংশ শতাব্দীতে নাটকীয়ভাবে হ্রাস পায়। অন্যান্য শকুনের মতো এদেরও আঁকড়ির মতো বাঁকানো ধারালো ঠোঁট রয়েছে। লম্বা ধারালো নখরযুক্ত পা বেশ শক্তিশালী। কনডোর সাধারণত প্রাণীর মৃতদেহ খাবার হিসেবে গ্রহণ করে। তবে মাঝে মধ্যে জীবন্ত শিকারও ধরে থাকে। দুই প্রজাতির কনডোর রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া কনডোর ও অ্যানডিয়ান কনডোর।
ক্যালিফোর্নিয়া কনডোর : এর বৈজ্ঞানিক নাম Gymnogyps Californianus. আকারে অ্যানডিয়ান কনডোরের চেয়ে সামান্য ছোট। এটি দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় উড়নক্ষম পাখি। এর দেহের দৈর্ঘ্য ১৪০ সেন্টিমিটার। ওজন ১০ কেজি। ডানার বিস্তার সর্বোচ্চ ৩ মিটার পর্যন্ত হয়। এর গায়ের রঙ কালো। ডানার রঙ ধূসর। মাথা কমলা অথবা হলুদ। পুরুষ পাখির ঘাড়ে গোলাপি রঙের ঝুঁটি থাকে। বন্য প্রজাতির ক্যালিফোর্নিয়া কনডোর গুহায় বাসা তৈরি করে। স্ত্রী কনডোর একটি মাত্র ডিম পাড়ে। ছয় মাস বয়সে এদের বাচ্চা বাসা ছেড়ে বাইরে বের হয়। কিন্তু খাবারের জন্য এরা পিতা-মাতার ওপর এক বছরেরও বেশি সময় নির্ভরশীল থাকে।
অ্যানডিয়ান কনডোর : দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ পর্বতে বসবাসকারী অ্যানডিয়ান কনডোর বর্তমানে বিপন্নপ্রায়। এরা লম্বায় প্রায় ১৩০ সেন্টিমিটার হয়। ডানার বিস্তার ২ দশমিক ৯ মিটার। ওজন ১১ কেজি। দেহের রঙ কালো। ঘাড়ের চার পাশে সাদা পালক রয়েছে। পুরুষ পাখির মাংসল ঝুঁটি রয়েছে। এরা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭ হাজার থেকে ১৬ হাজার ফুট ওপরে আন্দিজ পর্বতে বসবাস করে। স্ত্রী কনডোর দু’টি ডিম পাড়ে। এদের বাচ্চা ধীরে ধীরে বড় হয়। এক বছর বয়স হলে এরা উড়তে সক্ষম হয়। দক্ষিণ আমেরিকার কিছু মানুষ বিশ্বাস করে যে, অ্যানডিয়ান কনডোরের অঙ্গ ও হাড় নিরাময় গুণসম্পন্ন। এ বিশ্বাসের কারণে এদেরকে শিকার করা হয়, যার ফলে বর্তমানে এরা বিপন্নের দ্বারপ্রান্তে।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল